স্কুলের একমাত্র পদার্থবিদ্যা শিক্ষকের বদলি আটকানোর দাবি তুললেন অভিভাবকেরা। আদ্রার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিভাবকরা এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে স্কুলের চেয়ারম্যান তথা আদ্রার ডিআরএম এবং বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির কাছে আবেদন করেছেন।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পদার্থবিদ্যার শিক্ষক সোহনলাল বর্মাকে সম্প্রতি আদ্রা থেকে মিজোরামের আইজলে বদলি করার নির্দেশ এসেছে। কিন্তু এই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকস্তরে তিনি ছাড়া পদার্থবিদ্যার আর কোনও শিক্ষক নেই। অভিভাবকদের মধ্যে দিলীপ মুদি, অশোক রাম, রাজেশ পালরা বলেন, “সোহনবাবুর পরিবর্ত পদার্থবিদ্যার কোনও শিক্ষককে এখানে পাঠানো হচ্ছে না। ফলে তিনি চলে গেলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে।” তাঁদের দুঃশ্চিন্তার সঙ্গত কারণও রয়েছে। স্কুল সূত্রেই জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে স্কুলের অঙ্কের একমাত্র শিক্ষক বদলি হওয়ার পরে অঙ্কের আর স্থায়ী শিক্ষক আসেনি। চুক্তির ভিত্তিতে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করে পঠনপাঠন চালানো হচ্ছে। বর্তমানে স্কুলে শিক্ষকের শূন্যপদের সংখ্যা ১৬। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বদলির পরে পরিবর্ত শিক্ষক না আসাতে শূন্যপদগুলি তৈরী হয়েছে। স্কুলের অধ্যক্ষ এফ এস মুণ্ডা বলেন, “এমনিতেই স্কুলে শিক্ষকের বহুপদ শূন্য পড়ে রয়েছে। তারপর ওই শিক্ষক চলে গেলে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হবেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করা সম্ভব নয়।” তিনি জানান, অভিভাবকদের দাবির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁকে ওই শিক্ষককে দ্রুত ‘রিলিজ’ করার নিদের্শ দিয়েছে। আদ্রার ডিআরএম তথা স্কুলের চেয়ারম্যান অমিতকুমার হালদার বলেন, “পদার্থবিদ্যার একমাত্র শিক্ষক চলে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই সমস্যায় পড়বে ছাত্রছাত্রীরা। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পরিবর্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের কমিশনারকে অনুরোধ করেছি।” |