টুকরো খবর |
মাধ্যমিকের প্রথম ৬ জনকে নাসা ঘোরাবে অসম সরকার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
কেবল ‘নাসা’ ভ্রমণই নয়, অসমে ম্যাট্রিক বা এইচএসএলসি পরীক্ষায় প্রথম ৬ জন ছাত্রছাত্রীকে পুজোর ছুটিতে ডিজনিল্যান্ড নিয়ে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এ বছর পরীক্ষায় প্রথম স্থান পেয়েছে তিনজন। শঙ্করদেব শিশু বিদ্যানিকেতন (বোকাখাত)-এর ছাত্র জ্ঞানদীপ শর্মা, মালিগাঁও সেন্ট মেরিজ ইংলিশ হাই স্কুলের ছাত্রী ভাস্বতী ডেকা ও বিশ্বনাথ চারিয়ালির শঙ্করদেব শিশু বিদ্যানিকেতনের ছাত্রী স্তুতি খাউণ্ড ৬০০-র মধ্যে ৫৬৯ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে বিজনির বান্ধব হাইস্কুলের ছাত্র শাহিনুর রহমান এবং তেজপুরের সেন্ট যোশেফস কনভেন্ট হাইস্কুলের ছাত্রী পারিজাত প্রিয়দর্শিনী। তাদের নম্বর ৫৬৭। ৫৬৬ নম্বর পেয়ে তৃতীয় হয়েছে বেজেরার উদয়ন শান্তি নিকেতন স্কুলের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা বেজবরুয়া। শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণরা ল্যাপটপ পাবে। দ্বিতীয় বিভাগে অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই মিলবে ডেস্কটপ কমপিউটার। প্রথম তিনটি স্থানে থাকা ছয় ছাত্রছাত্রীকে ‘নাসা’-য় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ডিজনিল্যান্ডেও নিয়ে যাওয়া হবে।
|
মুঙ্গেরে চার জনের নামে মাওবাদী মৃত্যু পরোয়ানা
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
মাওবাদীরা এবার মৃত্যু পরোয়ানা দিয়ে পোষ্টার দিল মুঙ্গেরে। চার জনকে খতম করার ফরমান দিয়ে তাঁদের নাম-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়েছে ওই জঙ্গি সংগঠন। এই পোষ্টার সত্যি মাওবাদীদের দেওয়া কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আজ মুঙ্গেরের ধরধারা থানার বাঙ্গালবা এবং সাফোল এলাকায় প্রথমে এই পোষ্টার দেখা যায়। এই পোষ্টারে যে চারজনের নামে পরোয়ানা জারি হয়েছে তাঁরা হলেন: অনিল যাদব, অশোক কোড়া, ভোলা কোড়া এবং বিন্দে শাহ্ আছেন। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে মুঙ্গেরে লরাইয়াটাঁড় এলাকায় ২৫ জন মাওবাদী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই ব্যাপারে উদ্যোগী ছিলেন ওই গ্রামের মুখিয়া, অনিল যাদব। বাকি তিন জন আত্মসমর্পনকারী মাওবাদী। ধরধারা থানার ওসি রাজীব কুমার বলেন, “জমি সংক্রান্ত ঝামেলার জেরে এই পোষ্টার মারা হয়েছে বলে আমাদের অনুমান। এর সঙ্গে আত্মসমর্পণের কোনও বিষয় জড়িত নয়।” জেলার পুলিশ সুপার পি কান্নন বলেন, “পোষ্টারগুলি মাওবাদীদেরই কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
|
হারানো সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক উদ্ধার করতে সক্রিয় লালু
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
আগামী লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব তাঁর পুরনো সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধারে নামছেন। আরজেডি-র ১৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে আজ এক অনুষ্ঠানে লালুর আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যের সংখ্যালঘুরা এখানে নিরাপদ নয়। তারা নীতীশের আমলে অত্যাচারিত।” নীতীশের ‘ধর্মনিরেপক্ষতা’ নিয়ে কটাক্ষ করে লালু বলেন, “নীতীশ কী ধর্মনিরপেক্ষ? আমি মনে করি, রাজ্যে এনডিএর দু’জন নেতা ধর্মনিরপেক্ষ। এক পটনা সাহিবের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিংহ, অন্যজন ভাগলপুরের সাংসদ শাহনওয়াজ হুসেন।” প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে নীতীশ বলেছিলেন, আরএসএসের নয়, বিজেপি-র সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক আঁতাত। লালু বলেন, “এল কে আডবাণীকে নেতা হিসেবে মানেন নীতীশ। আডবাণী স্বীকার করেছেন তিনি আরএসএসের সঙ্গে আছেন। তা হলে নীতীশ কী ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হলেন?” মুসলিমদের উপরে অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে লালু বলেন, “পুণের জেলে বিহারের এক মুসলিম ছাত্রের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ করেননি। দ্বারভাঙার বাসিন্দা ফসি মহম্মদ সৌদি আরবের জেলে বন্দি। নীতীশ কী করছেন তার জন্য? শাহাবুদ্দিনের মতো নেতা জেলে বন্দি। তাকে একের পর এক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।”
|
ধৃতদের মুক্তি চেয়ে নাগরিতে পথ অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
অধিগৃহীত জমি দখল নিতে রাঁচির নাগরি অঞ্চলের আদিবাসীরা আজও সরকার বিরোধী আন্দোলন জারি রেখেছে। গত কালের ঘটনায় ধৃত নাগরির ‘জমিন বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি’-র দুই মহিলা-সহ চার সদস্যের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ আন্দোলনে বসেছে তারা। সকাল ন’টা নাগাদ নাগরির কাছে শুরু হয় কাঁকে রোড অবরোধ। সন্ধ্যে পর্যন্ত অবরোধ ওঠেনি। সন্ধ্যা সওয়া ছ’টা নাগাদ আন্দোলনকারীদের পক্ষে দয়ামণি বারলা বলেন, “ধৃতদের না- ছাড়া পর্যন্ত অবরোধ, বিক্ষোভ চলবে।” পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন নাগরির জমিন বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতির আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে কাঁকে ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের মানুষও। পুলিশ কর্তাদের অনুমান, জমি আন্দোলনে বিভিন্ন গ্রামের মানুষকে সংগঠিত করার পিছনে মাওবাদী বা নকশালদের ভূমিকা রয়েছে। এ নিয়ে তথ্য সংগ্রহে নেমেছে রাজ্য গোয়েন্দারা।
|
অপহৃত ১৯ শ্রমিক উদ্ধার, মৃত ১
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
একমাসের মাথায় কার্বি আংলং-এর লুংলিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অপহৃত ১৯ জন শ্রমিককে উদ্ধার করল পুলিশ। গত মাসে কার্বি আংলং জেলার লুংলিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে হানা দিয়ে কেপিএলটি জঙ্গিরা ২২ জন শ্রমিককে অপহরণ করে। এদের মধ্যে একজন পরে পালায়। কাল, অনিল চাকমা নামের এক শ্রমিক মাঞ্জা থানায় পৌঁছে জানান, অপহৃত এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অরণ্যের ভিতরে আটকে রয়েছে। পরে জঙ্গি ঘাঁটিতে গিয়ে মৃত ও অপহৃতদের উদ্ধার করে পুলিশ।
|
বাবরি মসজিদ ধ্বংসে মদত ছিল রাওয়ের, দাবি
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
বাবরি মসজিদ ধ্বংসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাওয়েরও ‘প্রচ্ছন্ন মদত’ ছিল বলে আত্মজীবনীতে দাবি করলেন সাংবাদিক কুলদীপ নাইয়ার। নাইয়ারের এই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন নরসিংহের ছেলে পি ভি রঙ্গা রাও। নাইয়ার জানিয়েছেন, করসেবকদের হাতে বাবরি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর যখন অশান্তি ছড়াতে আরম্ভ করে তখন নাইয়ার-সহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান রাও। তাঁদের বোঝাতে চেষ্টা করেন, মসজিদ ভাঙার কাজ আটকাতে তাঁর সরকার সব রকম ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিল তার ব্যাখ্যা দেননি রাও। নাইয়ারের মতে, “বাবরি ধ্বংসের জন্য রাও-সরকারই দায়ী। আশ্চর্যের ব্যাপার, এমন একটা ঘটনার কথা রাও জানতেন। অথচ সেটা আটকাতে কিছুই করেননি।”
|
গুলি করা যাবে না গরু পাচারকারীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভারতে গবাদি পশুর সংখ্যা প্রচুর। বাংলাদেশে চাহিদাও বেশি। তাই সীমান্ত এলাকায় গরু পাচার বাড়লেও নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করা যাচ্ছে না বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে তিনি বলেন, “পাচারকারীদের গুলি করতে বারণ করা হয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-কে। তাঁরা যেন শুধু আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালান।”
|
দু’হাজার প্যাকেট জিলেটিন আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
মাওবাদী প্রভাবিত কোডারমায় আজ সকালে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রায় দু’হাজার প্যাকেট জিলেটিন। জিলেটিন প্যাকেটে গোমিয়ার বিস্ফোরক কারখানার ছাপ আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বড় নাশকতার ছক কষেই জিলেটিনগুলি বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমা লাগোয়া জঙ্গি ডেরায় পাচার করা হচ্ছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, পাচারকারি তিন যুবক অবশ্য পালিয়ে গিয়েছে। গাড়িটি কোডারমা থেকে বিহারের গয়ার দিকে যাচ্ছিল বলে পুলিশ মনে করছে। জেলা পুলিশের কর্তারা জানান, গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর বিহারের। ওই নম্বর সঠিক কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
উত্তরাখণ্ডে ধস, মৃত্যু মহিলার
সংবাদসংস্থা • দেরাদুন |
প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রাস্তায় ধস নামায় বিরহীর কাছে হৃষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে আটকে পড়েছে বহু গাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম প্রমীলা রাই। তিনি ও তাঁর স্বামী বিহারের বাসিন্দা। তাঁরা বদ্রীনাথ দর্শন করে ফেরার সময় ধস নামে। ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সীমান্ত সড়কের দফতরও। ওই এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
|