মাঠ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে গলায় শাড়ির ফাঁস দেওয়া এক বধূর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রামপুরহাট থানার রদিপুর গ্রামের ঘটনা। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “শ্বাসরোধ করে ওই বধূকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে হয়েছে। ময়না-তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম শিখা লেট (২৬)। বড়শাল গ্রামে তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রদিপুর গ্রামে দাদার বাড়িতে থাকতেন। পরিবার সূত্রে খবর, সাত বছর বড়শাল গ্রামের সোমেন লেটের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের বছর খানেক পরে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তারাপীঠ শ্মশানে সাধুর বেশে থাকেন সোমেন। সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে ওই বধূ বাপেরবাড়ি রদিপুরে ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন এবং মিলন মণ্ডল নামে এক জনের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন তিনি। সেখানে মিলন মণ্ডলের গাড়ি চালক রামপুরহাটের গুগ গ্রামের বাসিন্দা নিখিল লেটের সঙ্গে শিখাদেবীর পরিচয় হয়। শিক্ষাদেবীর কাকিমা থামু লেটের দাবি, “নিখিল ও শিক্ষার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক শিখার দাদা-বৌদি মেনে নিতে পারেনি। নিষেধ করলেও শিখা নিখিলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখত। এর ফলে শিখা আলাদা ভাবে দাদার ঘরে থাকত। সম্প্রতি নিখিল তাকে জায়গা কিনার জন্য টাকা দেবে বলেছিল। বুধবার বিকেলে শিখা আমাকে সে কথা বলেছিল।” তাঁর অনুমান, “ওই দিন রাতে নিখিল শিখার বাড়িতে এসেছিল।” বৃহস্পতিবার গ্রাম থেকে প্রায় এক কিমি দূরে শিখার দেহ পাওয়া যায়। মৃতার পরিবারের তরফ থেকে নিখিলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
|
বহরপুর-আসানসোল রুটের একটি বেসরকারি বাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি ধাক্কায় জখম হলেন কয়েকজন বাসযাত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সদাইপুর খানা এলাকার কচুজোড়ের কাছে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, বাসটি আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা লরির সঙ্গে বাসের ধাক্কা লাগে। তবে আহত যাত্রীদের কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি।
|
চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর এলাকার এক বাসিন্দা ওই ‘চিকিৎসকে’র নামে জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনার কাছে প্রতারণার অভিযোগ জমা দিয়েছেন। বিনয়কুমার ঝাঁ নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রামপুরহাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালিয়ে অত্যাধুনিক পরিষেবা দেওয়ার নাম করে রোগীদের কাছ থেকে মোটা টাকা তুলেছেন। কিন্তু পরিষেবা দেওয়ার পরিবর্তে তিনি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন বলে ওই রোগীদের অভিযোগ। অভিযুক্তের সঙ্গে ফোনে বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। |