টানা পাঁচদিন ধরে মালদহ-নালাগোলা রুটে সমস্ত যান চলাচল স্বাভাবিক করতে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কর্মাস, মালদহ বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে শুরু করে সিটু ও আইএনটিইউসি প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে। সোমবার সিটু রথবাড়িতে পথসভা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে আইএনটিইউসি। মালদহের জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা অবশ্য বলেন, “পুলিশের সঙ্গে গোলমালের জেরে একটা শ্রমিক সংগঠন ওই রুটে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশের সমস্যা পুলিশ মেটাবে। জেলা প্রশাসন কিছু করবে না।” আর জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “মঙ্গলবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই যানচলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।” |
গত ২৭ জুন পাকুয়াহাটে একাংশ যাত্রীদের হাতে মার খেয়ে ম্যাক্সি-ট্যাক্সির চালক ও খালাসিরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত অবরোধ না ওঠায় বামনগোলা থানা পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। ওই চারজনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আইএনটিইউসি ২৮ জুন থেকে লাগাতার মালদহ-নালাগোলা রুটে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, “মঙ্গলবার সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রয়োজনে বৈঠকের পর জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত বেসরকারি যানচলাচল বন্ধ করে দেব।’’ একই ভাবে সিটুর জেলা সহসভাপতি ইন্দ্রজিৎ মিত্র বলেন, “এই রকম নিষ্ক্রিয় জেলা প্রশাসন আগে কোনওদিন দেখিনি। পাঁচদিন ধরে জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে যান চলাচল বন্ধ। অথচ জেলাশাসকের কোনও হেলদোল নেই।” একইভাবে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিষদগার করেছে মার্চেন্ট চেম্বার অব কর্মাস এবং বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। |