জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত উত্তরবঙ্গ সফরের আগে ফের আন্দোলনে নামছে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, পৃথক রাজ্যের দাবির পাশাপাশি মাথাভাঙার খলিসামারিতে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি জোরালো করতে ওই আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে। রবিবার দিনহাটার প্রান্তিক বাজার এলাকার খড়খড়িয়া প্রাথমিক স্কুল চত্বরে জিসিপিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে ওই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। জিসিপিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে ৪ জুলাই কোচবিহার সদর মহকুমার শালবাড়ি হাট ও ৬ জুলাই মাথাভাঙা শহরে জনসভার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার পরে ১০ হাজারের বেশি সর্মথক জমায়েত করে জেলাশাসককে ডেপুটেশন দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টির সভাপতি বংশীবদন বর্মন বলেন, “কোচবিহারের ভারত ভুক্তির চুক্তির রুপায়ণের দাবি তো থাকছেই, এ বারে মাথাভাঙার খলিসামারিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিও আমরা জোরদার করতে চাইছি। সে জন্য জনসভা, ডেপুটেশনের মত কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে ওই কর্মসূচি নেওয়া হবে। পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ওই ব্যাপারে আবেদন জানানোর চেষ্টা হবে। বংশীবদনবাবু এই দিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ন্যায়পরায়ণ ও সৎ মানুষ। দায়িত্ব নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রথম কোচবিহারে আসছেন বলে এখন অনশনের মত কর্মসূচি নিচ্ছি না। তা ছাড়া উনি ন্যায় বিচার করবেন বলে আমরা আশাবাদী।” প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার শহরে কৃষি খামারের জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। চলতি জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করার কথা। তা জানাজানি হতেই মাথাভাঙার খলিসামারিতে মণীষি পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটেয় ওই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার দাবি তুলেছেন জিসিপিপি নেতৃত্ব। তবে সংগঠন সূত্রেই জানা গিয়েছে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ওই দাবি জোরাল করতে চাইছেন বংশীবদনবাবুরা। বংশীবদনবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সঙ্গে ওই বিষয়টি এক করে দেখা ঠিক নয়। মণীষি পঞ্চানন বর্মাকে শ্রদ্ধা জানাতেই আমরা তাঁর জন্মভিটেয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার দাবি তুলেছি।” তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষও গ্রেটারের কর্মসূচির কথা শুনেছেন। তিনি বলেন, “যে কোন মানুষ দাবি জানাতেই পারেন। তবে জেলার সব মহলের মতামত নিয়েই সঠিক জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ১২ জুলাই কোচবিহারে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্যানাস করতে আসবেন। জেলাবাসী ওই শুভক্ষণের অপেক্ষায় রয়েছেন।” |