নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সহপাঠীরা যে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত দৌড়োদৌড়ি করে পরীক্ষার অনুমতি আদায় করেছেন, জানতেন না তিনি। যখন জানলেন, এমবিবিএসের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা তখন মাঝপথে। সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা দিতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হলদিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আইকেয়ার পরিচালিত মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী সুইটি সোম। আজ, মঙ্গলবার তিনি মেডিক্যাল প্রথম বর্ষের লিখিত পরীক্ষার শেষ দিনে পরীক্ষা দেওয়া শুরু করতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরামবাগের ওই ছাত্রী যাতে পরীক্ষা দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি তরুণ দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। উচ্চ আদালতের বক্তব্য, মেডিক্যাল কাউন্সিলের বিধিতে শেষ দিনেও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে। তাই আদালত চায় না, ওই ছাত্রীর একটি বছর নষ্ট হয়ে যাক।
আবেদনকারিণীর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, সুইটি ওই কলেজের অনুমোদন বাতিল হওয়ার পরে পরীক্ষা দেওয়া হবে না ভেবে হতাশায় আরামাগের নিরাভয়পুর গ্রামে ফিরে যান। তার পরে পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে শুনে তিনি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়নি। তখন হাইকোর্টে যান তিনি। পরীক্ষা শেষের মুখে। তাই তাঁকে পরীক্ষায় বসার নির্দেশ দেননি বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত। সুইটি ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন।
সুব্রতবাবুর বক্তব্য, লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে মঙ্গলবার। তার পরে মৌখিক ও প্র্যাক্টিক্যাল। মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী সুইটি এই পরীক্ষাগুলি দিলে পরের সেমেস্টারের সময় প্রথম বর্ষের না-দেওয়া পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। বছর নষ্ট হবে না। ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়ার ক্ষতি রুখতেই কাউন্সিল এই ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে। সুযোগ থাকলে কোনও ছাত্র বা ছাত্রীকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত না-করাটা আদালতেরও উদ্দেশ্য। |