অস্ত্রোপচারে জীবন ফেরানো হল শিশুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
শিশুটির শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীর মধ্যে সংযোগ ছিল। দুধ খাওয়ানোর সময় তা শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ছিল। শ্বাসকষ্টে নীল হয়ে যাচ্ছিল শিশুটি। রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের উপকণ্ঠে বাম চাঁদাইপুরে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার প্রাণ বাঁচানো হল। বীরভূমে রামপুরহাট হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির জন্ম দেন পাকুড়ের আলো মণ্ডল। জন্ম থেকেই তার মুখ দিয়ে লালা ঝরছিল। দুধ খাওয়াতে গিয়ে শারীরিক ত্রুটির বিষয়টি বোঝা যায়। রামপুরহাট থেকে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের করা না যাওয়ায় শিশু নিয়ে তার মা বেসরকারি হাসপাতালটিতে ভর্তি হন। সেখানেই শিশুচিকিৎসক নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে শল্য চিকিৎসকদের একটি দল টানা ছ’ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে শিশুটির শ্বাসনালী ও খাদ্যনালী বিচ্ছিন্ন করেন। হাসপাতালের ডিরেক্টর সৌমেন্দ্র সাহা শিকদার বলেন, “জীবনের ঝুঁকি ছিল শিশুটির। তবে এখন স্বাভাবিক ভাবে নিশ্বাস নিতে পারছে।” বর্ধমান মেডিক্যালের সুপার অসিতবরণ সামন্ত বলেন, “আমাদের এখানে শিশুশল্য চিকিৎসক নেই। তাই এই ধরনের অস্ত্রোপচার সম্ভব নয়। এসএসকেএম বা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে। খুবই ঝুঁকির কাজ। বর্ধমানে বসে এই অস্ত্রোপচার কৃতিত্বের দাবি রাখে।”
|
পিঙ্কির রক্ত নিল এসএসকেএম
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিস্তর টানাপোড়েনের পরে অবশেষে ক্রোমোজোম পরীক্ষার জন্য অ্যাথলিট পিঙ্কি প্রামাণিকের রক্ত নেওয়া হল। এবং ওই পরীক্ষাকে ঘিরে যে-‘সুপার স্পেশ্যালিটি’ হাসপাতালকে ঘিরে বিতর্ক বেধেছিল, রক্ত সংগৃহীত হল সেই এসএসকেএমেই। সোমবার বেলা ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পিঙ্কিকে। প্রায় ৪৫ মিনিট সেখানে ছিলেন তিনি। ওই হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁর রক্ত নেন। বারবার শারীরিক পরীক্ষা নিয়ে এ দিনই প্রথম মুখ খোলেন পিঙ্কি। এসএসকেএমে তিনি বলেন, “জীবনে কখনও এত অপমানিত হতে হয়নি। আমার খুব খারাপ লাগছে।” পিজি-র সুপার তমাল ঘোষকে পিঙ্কির মন্তব্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশে যতটুকু পরীক্ষা করার কথা, সেটাই করা হচ্ছে।” জাতীয় পর্যায়ের অ্যাথলিট পিঙ্কিকে ‘পুরুষ’ আখ্যা দিয়ে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা-সহ বেশ কিছু অভিযোগ এনেছেন বাগুইআটির এক মহিলা। পিঙ্কি পুরুষ না মহিলা, তা জানার জন্য আদালতের নির্দেশে গত সপ্তাহেই তাঁর এক দফা শারীরিক পরীক্ষা হয় এসএসকেএমে। তবে এসএসকেএমে ক্রোমোজোম পরীক্ষা বা কেরিওটাইপিং-এর পরিকাঠামো না-থাকায় তা করা যায়নি। এ দিন এসএসকেএমের চিকিৎসকেরা জানান, কলকাতার কোনও সরকারি জায়গাতেই এই পরীক্ষা করার চেষ্টা হচ্ছে।
|
অস্ত্রোপচারে জীবন ফেরানো হল শিশুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
শিশুটির শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীর মধ্যে সংযোগ ছিল। দুধ খাওয়ানোর সময় তা শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ছিল। শ্বাসকষ্টে নীল হয়ে যাচ্ছিল শিশুটি। রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে বাম চাঁদাইপুরে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার প্রাণ বাঁচানো হল। রামপুরহাট হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির জন্ম হয়। জন্ম থেকেই তার মুখ দিয়ে লালা ঝরছিল। তখন রামপুরহাট থেকে তাকে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা না থাকায় তাকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
|
উদ্যোগী ডিওয়াইএফ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ডিওয়াইএফের উদ্যোগে রক্তদান শিবির হল খড়্গপুরের নিমপুরায়। সোমবার শিবিরের উদ্বোধন করেন খড়্গপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা অনিতবরণ মন্ডল। ছিলেন মুরারি ঘোষ, দিলীপ চক্রবর্তী প্রমুখ। যুব-সংগঠনের নিমপুরা লোকাল কমিটির সম্মেলন উপলক্ষেই এই আয়োজন। উদ্যোক্তারা জানান, প্রায় ৮০ জন রক্ত দেন। এই সময়ে হাসপাতালে-হাসপাতালে রক্তের সঙ্কট চলছে। পরিস্থিতি দেখেই এই উদ্যোগ।
|
ফের লোডশেডিং মেডিক্যাল কলেজে। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী না হওয়ায় ইমার্জেন্সি পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়া থেকে একটুর জন্য বেঁচেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরাই। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল দশটা বাজতে পাঁচে, যখন মূলত বেশির ভাগ অস্ত্রোপচার শুরু হয়। সেই সময়ে ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে আলো নিভে যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে একটি লাইন ট্রিপ করে যাওয়াতেই লোডশেডিং হয়। তবে দশটা পাঁচের মধ্যেই লাইন ঠিক হয়ে যায়। সুপার অসীম দাস বলেন, “প্রত্যেক ওটিতেই ইনভার্টার রয়েছে। ফলে অস্ত্রোপচারে বিঘ্নের প্রশ্নই নেই। দীর্ঘদিন হাসপাতালে জেনারেটর ছিল না। এখন তিনটি জেনারেটর এসেছে। কিছুদিনের মধ্যে সেগুলি লাগানো হয়ে গেলে এই সমস্যাও আর থাকবে না।” প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগেই পরপর কয়েক দিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয় মেডিক্যাল কলেজে। সেই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, গরমে সব ভবনে এসি চলছে। এত ‘লোড’ টানতে না পারায় লাইন ট্রিপ করে যাচ্ছে।
|
ন্যাশনাল মেডিক্যালে শনিবারের বিস্ফোরণ নিয়ে সোমবার রিপোর্ট জমা দিল তদন্ত কমিটি। কমিটির চেয়্যারম্যান জ্যোতির্ময় দত্ত হাসপাতালের সুপার পার্থ প্রধানকে রিপোর্টটি দেন। সুপার সেই রিপোর্ট স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে দেবেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রিপোর্টে ‘বোমা ফেটেছে’ বলে সরাসরি কোনও মন্তব্য না থাকলেও পক্ষান্তরে বোমা বিস্ফোরণের কথাই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে, ঘটনার ফরেন্সিক তদন্তের প্রস্তাবও দিয়েছেন তদন্তকারীরা। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে জ্যোতির্ময় দত্ত ছাড়াও রয়েছেন মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক পার্থ মুখোপাধ্যায়, সার্জারি বিভাগের প্রধান দেবব্রত বসু, নার্সিং সুপার মালা সামন্ত এবং হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তকারীরা জানান, রিপোর্ট দেওয়ার আগে আহতদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। আঘাতের পরিমাণ ও চরিত্রও খতিয়ে দেখা হয়েছে।
|
সম্প্রতি খড়্গপুর শহরের পুরীগেটে সিপিআইয়ের উদ্যোগে আয়োজিত হল শ্রমিক-সভা। সভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ প্রবোধ পাণ্ড, জ্যোতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপ্লব ভট্ট, বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ নেতারা। এ দিন এআইটিইউসি হিজলি শাখার উদ্যোগে আয়োজন করা হয় রক্তদান শিবিরেরও। মোট ৮৬ জন রক্তদান করেন।
|
সরকারি হাসপাতালের সিক নিউবর্ন চাইল্ড ইউনিটের চিকিৎসায় সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বাড়ি ফিরল স্বল্প ওজনের এক নবজাতক। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। তিনদিনের পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসকদের চেষ্টায় সুস্থ ওই নবজাতককে রবিবার ছুটি দেওয়া হয়েছে। |