ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে আমরির দুই ডিরেক্টর আদিত্য অগ্রবাল ও রাহুল তোদি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। সোমবার তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই দু’জনের সঙ্গে চার্জশিটে নাম থাকা আরও এক ডিরেক্টর বেশ কিছু দিন গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। তিনি আদিত্য ও রাহুলের আগেই জামিন পান। পালিয়ে বেড়ানো দুই ডিরেক্টর আগাম জামিন পেয়ে যাওয়ায় আমরি-কাণ্ডে অভিযুক্ত সব ডিরেক্টরেরই জামিন হয়ে গেল। আদিত্য অগ্রবাল, রাহুল তোদি-সহ তিন জনের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। অন্য এক ডিরেক্টর প্রীতি সুরেখা আগেই আগাম জামিন পেয়েছেন।
এ দিন বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আদিত্য ও রাহুলের আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে তাঁদের আইনজীবীরা বলেন, ওঁরা দু’জন ডিরেক্টর হলেও কেউই আমরির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নন। ২০১১ সালে আদিত্য আমরি বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের একটি মাত্র বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আর রাহুল কোনও বৈঠকেই যোগ দেননি। তিনি ডিরেক্টর হলেও কোনও বৈঠকেই যেতেন না, আমরির কাজকর্মও দেখতেন না। ডিভিশন বেঞ্চ ফেরার অভিযুক্তদের আইনজীবীদের আবেদন মঞ্জুর করে।
এর আগে জামিনে মুক্ত আমরির তিন কর্তা রাধেশ্যাম গোয়েনকা, মনীশ গোয়েনকা ও প্রশান্ত গোয়েনকার পক্ষ থেকে এ দিন আদালতে আর্জি জানিয়ে বলা হয়, ওই তিন জন নিজেদের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান। কিন্তু তা পারছেন না। তাঁদের জামিন মঞ্জুর করার সময় হাইকোর্ট যে-শর্ত দিয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ওই তিন আবেদনকারীর আইনজীবী অতনু রায়চৌধুরী আদালতে জানান। অতনুবাবু জানান, জামিনের শর্তে বলা হয়েছে, তাঁরা লেক থানা এলাকায় ঢুকতে পারবেন না (কারণ আমরি হাসপাতাল ওই থানা এলাকাতেই পড়ে)। কিন্তু গোয়েনকাদের বাড়িও লেক থানা এলাকাতেই। হাইকোর্ট অবশ্য তাঁদের বাড়ি কোথায়, তা জানত না। আবেদনকারীদের বক্তব্য, লেক থানা এলাকায় তাঁরা প্রবেশের অনুমতি চাইছেন না। শুধু বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি চাইছেন। আবেদনকারীদের বক্তব্য, জামিনে মুক্ত হয়েও বাবা যেতে পারছেন না ছেলেমেয়ের কাছে। হাইকোর্ট ওই আবেদন শুনবেন বলে জানিয়েছে। |