মুখে কালো কাপড় বেঁধে হাতে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে বিচারকের অশোভন আচরণের প্রতিবাদে মিছিল করলেন আইনজীবী এবং মুহুরীরা। সোমবার দুপুরে বসিরহাট মহকুমা আদালত চত্বরে ওই ঘটনা ঘটে। আইনজীবীদের এ হেন অভিযোগের উত্তরে অবশ্য ফাস্ট ট্রাক থ্রি আদালত কতৃর্পক্ষ জানান, এ ব্যাপারে বিচারক কিংবা কর্মীরা কোনও কথা বলবেন না। |
আদালত ও অইনজীবী সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড গরমের জন্য গত ৫ জুন ফৌজদারি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রেজোলিউশন করে ফাস্ট ট্রাক থ্রি আদালতের বিচারকের কাছে আবেদন জানানো হয়, যে কেউ যদি গরমের জন্য সময়মতো আসতে না পারেন তাহলে যেন তাঁর কোনও ক্ষতি না হয়। একই ভাবে দেওয়ানি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও অন্যান্য বিচারকদের কাছে আবেদন জানানো হয়। আইনজীবীদের অভিযোগ, সকলে তাঁদের আবেদন রাখলেও ফাস্ট ট্রাক থ্রি আদালতের বিচারক তাঁদের আবেদনকে কোনও গুরুত্বই দেননি। এর প্রতিবাদে ৬ জুন থেকে ওই আদালতের কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ফৌজদারি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে দেওয়ানি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরাও প্রতিবাদে সামিল হন। এর ফলে ব্যাহত হয় আদালতের কাজকর্ম।
ফৌজদারি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের দেবব্রত হালদার বলেন, “প্রচণ্ড গরমের কারণে ফাস্ট ট্রাক থ্রি আদালতের বিচারকের কাছে লিখিতভাবে বলা হয়েছিল মাত্র চারদিনের জন্য ওই ব্যবস্থা চালু করা হোক। কিন্তু তিনি তা না শুনে আমাদের আবেদনপত্রটি ফেলে দেন। এটা আমাদের পক্ষে অসম্মানজনক হওয়ায় কর্মবিরতির ডাক দিই। ঘটনাটি রাজ্যের আইনমন্ত্রী, রাজ্য বার অ্যাসোসিয়েশন, জেলা জজ ও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারককে জানানো হয়েছে।”
দেওয়ানি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদর অমিত মজুমদার বলেন, “সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বিচারপ্রার্থীরা এখানে আসেন। দূরদুরান্ত থেকে আসেন অনেক আইনজীবী, মুহুরী। তাঁদের সকলের কথা ভেবেই গরমের জন্য কয়েকটা দিন বিরতি চাওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে আলোচনারও চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় যৌথ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।” |