|
|
|
|
বধূর অপমৃত্যু, স্বামী-সহ তিন জনের জেলহাজত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বধূ খুনের অভিযোগে সোমবার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল হলদিয়া মহকুমা আদালত।
গত শনিবার হলদিয়ার রানিচক গ্রামের বধূ নমিতা গুড়িয়ার (২০) দেহ উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিচক গ্রামের শম্ভু গুড়িয়ার সঙ্গে বছর দু’য়েক আগে বিয়ে হয়েছিল খেজুরি থানার জাহানাবাদ গ্রামের নমিতার। তাঁদের দশ মাসের একটি ছেলে রয়েছে। শম্ভু কলকাতায় একটি রুটি কারখানার শ্রমিক। নমিতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে নমিতার উপর অত্যাচার করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। গত শনিবার সকালে হঠাৎই নাতির চিকিৎসার অজুহাতে নমিতার শ্বশুর-শাশুড়ি শিশুটিকে নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যান। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন বাড়ির মেঝেতে নমিতার দেহ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে চলে আসেন নমিতার বাপের বাড়ির লোকেরাও। ওই দিনই গ্রামবাসীরা ফোন করে মীমাংসার কথা বলে নমিতার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও এক আত্মীয়কে গ্রামে ডেকে আনেন। এরপর শ্বশুরবাড়ির চার জনকে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় শম্ভু, তার বাবা-মা ও আত্মীয় স্বপন গিরিকে উদ্ধার করে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্বপনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। নমিতার বাবা সত্যরঞ্জন দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রবিবার নমিতার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই বধূর। তদন্ত শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|