‘কেউ আর আমাদের ছুঁতে পারবে না’ |
কেউ বলছেন, মায়াবী ফুটবল। কেউ আবার ডুবে যাচ্ছেন চরম হতাশায়। সোজাসুজি জানাচ্ছেন,
এই স্পেনের বিরুদ্ধে নামলে দশ বারের মধ্যে আট বারই হার কপালে নাচবে। রবিবার রাতের
স্পেনের
অবিশ্বাস্য ফুটবলের পর দু’দলের তারকারা যে যা বললেন... |
ইনিয়েস্তা: আমরা অন্য মাত্রায় ফুটবল খেলেছি ফাইনালে। নিজেদের স্টাইলে খেলেছি। শেষ দিকে ইতালি দশ জনে খেলায় কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। আমি মোটেও বলছি না আমাদের ফুটবলই সবচেয়ে সুন্দর। কিন্তু এটা মানতে হবে আমাদের কৃতিত্বটা বাকিদের চেয়ে আলাদা। এটা মায়াবী, যা আর হবে না।
কাসিয়াস: আমরা যেটা করেছি, সেই কাজটা কঠিন। কিন্তু আমাদের দেখে মনে হয় কাজটা সোজা। যত দিন বাঁচব মুহূতর্গুলো থেকে যাবে।
ফাব্রেগাস: সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করে দিলাম। যারা আমাদের খেলাকে বোরিং বলেছিল, তারা ফুটবল বোঝে না। গতকাল ছিল আমার জীবনের সেরা দিন। এর আগে বিশ্বে কোনও টিম পরপর তিনটে বড় টুর্নামেন্ট জেতেনি। এখন হয়তো ব্যাপারটা বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু সময় এর মানে বলে দেবে।
জাভি: যোগ্য দল হিসেবে জিতেছি আমরা। এ বারে ইউরোয় ফাইনালেই সেরা ম্যাচ খেলেছি। যখন লোকে আমাদের বিশ্বাস করছিল না, তখনই সেরা ম্যাচটা এল। নিজেদের ফুটবলটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছি আমরা।
বুফোঁ: জীবনে কখনও না কখনও আপনাকে হার মেনে নিতে হয়। এবং আপনার চেয়ে ভাল প্রতিপক্ষকে সম্মান জানাতে হয়। সেটাই করছি।
দে’রোসি: এই মুহূর্তে স্পেন সবার চেয়ে ভাল টিম। ওদের সঙ্গে দশটা ম্যাচ হলে সাতটা থেকে আটটা হারতে হবে।
দেল বস্কি: আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। কিন্তু ইতালিকে ছোট করে দেখার কোনও কারণ নেই। ফুটবলের একটাই নিয়ম আছে। গোল করার রাস্তা খোঁজা। আমাদের ফুটবলাররা সেটা জানে।
সিজার প্রান্দেলি: আমরা বড্ড ক্লান্ত ছিলাম। যে মুহূর্তে আমরা দশ জন হয়ে যাই, সেই মুহূর্তে ম্যাচও শেষ হয়ে গেল।
|
• ফাইনালের সেরা: ইনিয়েস্তা • টুর্নামেন্টের সেরা: ইনিয়েস্তা
• গোল্ডেন বল: তোরেস
• উয়েফার সেরা দশের তালিকায় স্পেনের ফুটবলার আট জন। একে রামোস, দুইয়ে রোনাল্ডো,
পরের সাত জনই স্পেনের। দশে মার্চিসিও। এগারোয় পির্লো। বারোয় জাভি।
উয়েফার বিচারে ইউরোর সেরা টিম
গোলকিপার: বুফোঁ, কাসিয়াস, নয়্যার।
ডিফেন্ডার: পিকে, কোয়েন্ত্রাও, লাম, পেপে, রামোস, আলবা।
মিডফিল্ডার: দে রোসি, জেরার, জাভি, ইনিয়েস্তা, খেদিরা, বুস্কেতস, ওজিল, পির্লো, আলন্সো।
ফরোয়ার্ড: বালোতেলি, ফাব্রেগাস, রোনাল্ডো, ইব্রাহিমোভিচ, সিলভা। |
স্পেন এবং সর্বকালের সেরা ফুটবল সরণি |
হাঙ্গেরি (’৫০-’৫৬)
ফেরেঙ্ক পুসকাস এবং হিদেকুটিরা সোরগোল ফেলেছিলেন
’৫৪ বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠে। অল্পের জন্য হার জার্মানির কাছে।’৫০ থেকে ’৫৬এই ছ’বছরে হার মাত্র একটা ম্যাচে। |
ব্রাজিল (’৭০)
ব্রাজিলের স্বর্ণযুগের এটাই শেষ টুর্নামেন্ট। বলা হয়, একটা টিমে এতগুলো দুর্ধর্ষ প্লেয়ারকে একসঙ্গে খেলতে আর কখনও
দেখা যায়নি। প্রবাদপ্রতিম পেলে শেষ বিশ্বকাপ মাতিয়ে দেন। |
নেদারল্যান্ডস (’৭৪-’৭৮)
টোটাল ফুটবল এবং প্রায় নিরঙ্কুশ আধিপত্য দেখান
রেনাস মিশেলসের ফুটবলাররা। বিশ্বকাপ না পেলেও ক্রুয়েফ
ও
ডাচ ফুটবলাররা সারা বিশ্ব জুড়ে সমীহ আদায় করে নেন। |
পশ্চিম জার্মানি (’৭২-’৭৬)
বেকেনবাউয়ারের নেতৃত্বে গার্ড মুলার, পল ব্রাইটনার, গুন্টার
নেটজারের
জার্মানি জিতেছে ’৭২ ইউরো, ’৭৪ বিশ্বকাপ।’৭৬ ইউরো ফাইনালে
পেনাল্টিতে জার্মানি হেরে যায় চেকোস্লোভাকিয়ার কাছে। |
ব্রাজিল (’৮২)
সত্তরের পর একটা দশকে কোনও ট্রফি ছিল না। ’৮২-র
ব্রাজিলকে দেখে অনেকেই মনে করছিলেন, সাম্বা ফুটবল জাগছে।
সক্রেটিস, জিকো, এডার, ফালকাওরা দারুণ শুরু করে হেরে যান। |
ফ্রান্স (’৯৮-’০০)
’৯৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলকে ৩-০ হারান জিদানরা।
দু’বছর
পর ইউরো জয়। ইতালিকে ২-১ হারিয়ে। পর পর
দু’বছরে ইউরো,
বিশ্বকাপ তার আগে বেকেনবাউয়ারের জার্মানি ছাড়া কারও ছিল না। |
|