ভাঙন বাড়ছে সাঁকরাইলে
ত ১৫ বছর ধরে ভাঙন চলছে সাঁকরাইলের মানিকপুরে। সেচ দফতর একবার বোল্ডার ফেলে অস্থায়ী ভাবে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও তাতে বেশি দিন ভাঙন আটকানো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি নদী বাঁধগুলিরও স্থায়ী মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ। তবে এখনই এলাকায় বাঁধ সংস্কার বা ভাঙন রোধে কোনও কাজ হবে বলে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
বছর দশেক আগে হুগলির ভাঙনে মানিকপুরের কালীমন্দির, শিবমন্দির, শ্মশান, পার্ক নদীতে তলিয়ে যায়। প্রথম দিকে প্রায় দু’শো মিটার এলাকায় ধস নেমেছিল। জলের তোড়ে ক্রমশ নদীর পাড় ভেঙেছে। হাজার মিটারের বেশি এলাকা জুড়ে ভাঙন হয়েছে। স্থানীয় একটি জুটমিলের বেশ কিছু অংশে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। কারখানার ভিতরে বহু জায়গায় ধস নেমেছে। কিছু ঘর নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। বড় বাঁধের অংশ তলিয়ে গিয়ে বাঁধটি ৩-৪ ফুট সরু হয়ে গিয়েছে। ২০০৯-১০ সালে বোল্ডার দিয়ে মেরামত করা এলাকাও বসে গিয়েছে।
মানিকপুর নদীবাঁধের কাছেই বাড়ি মানিক ঘোষালের। তিনি বলেন, “স্থায়ী ভাবে বাঁধ মেরামত হওয়া খুবই দরকার। বাঁধের কাছে মাটি ক্ষয়ে জায়গাটি সরু হয়ে গিয়েছে। সামনের বর্ষায় কি হাল হবে জানি না। বছর দু’য়েক আগে বোল্ডার ভেঙে ভাঙন রোধের চেষ্টা হয়েছিল। তাতে তো লাভ হয়নি। ওই সামান্য কাজের পর তো আর কোনও সংস্কারই হয়নি।” এই বাঁধ ভাঙলে মানিকপুর, শিবতলা, রায়পাড়া, নস্করপাড়া, বেলতলা, ব্রাহ্মণপাড়া, সর্দারপাড়া-সহ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়বে বলে জানান তিনি। সব জেনেও প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ।
মানিকবাবুর কথায়, “ও পাড়ে আকড়ার দিকে চর পড়ে এ পাড়ে মানিকপুরের দিকে ভাঙন বাড়ছে। মানিকপুরের মতো জনবহুল এলাকায় পাড় আরও শক্তপোক্ত করে বাঁধানো প্রয়োজন।” সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার বলেন, “২০০৯-১০ সালে একবার বোল্ডার দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল। বিপজ্জনক অবস্থা হলে প্রশাসনকে খবর দিতে হবে। তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।” নাজিরভঞ্জ সেচ দফতরের কর্তারা জানান, বিষয়টি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসা হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.