আত্মহত্যায় প্ররোচনা, চার জনের কারাদণ্ড |
গৃহবধূকে পণের জন্য নির্যাতন করা এবং তাঁকে আত্মঘাতী হতে প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে চার জনের সাজা দিলেন বিচারক। সোমবার উলুবেড়িয়া ফাস্ট ট্র্যাক (২) কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রশান্তকুমার শীল এই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তেরা হল ওই গৃহবধূর স্বামী নিতাই অধিকারী, শ্বশুর অনাথ অধিকারী, দুই শাশুড়ি ছবি অধিকারী এবং গৌরী অধিকারী। আত্মঘাতী হতে প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে নিতাই, অনাথ এবং ছবির ১০ বছর করে এবং গৌরীর ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ শুনিয়েছেন বিচারক। অন্য দিকে, ওই বধূকে পণের জন্য নির্যাতনের দায়ে চার জনেরই দু’বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই মামলায় তাদের ১০০০ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’টি মামলার সাজা একই সঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছেন এই মামলার সরকারি আইনজীবী হারুচন্দ্র দোয়ারী। পুলিশ জানিয়েছে গৃহবধূর নাম কুব্জা অধিকারী। তাঁর বাপের বাড়ি উলুবেড়িয়ার শ্রীরামপুরে। ২০০৭ সালের মার্চ মাসে তাঁর বিয়ে হয় বাগনানের কালিকাপুরের নিতাই অধিকারীর সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে তাঁর উপরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত। অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে কুব্জা ওই বছরেরই ১৫ অগস্ট বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। তাঁর দাদা প্রভাস পাত্র থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
|
পঞ্চায়েতের ‘দুর্নীতি’, অবরোধ |
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোমবার পথ অবরোধ করে গ্রামবাসীরা। পোলবা-দাদপুর ব্লকের আমনান পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয় বিডিও-কে। পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আমনান পঞ্চায়েতের বন্যপাড়া গ্রামে ১০০ দিনের কাজের একটি প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক বাধে। গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগ তোলেন, ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার ওই প্রকল্পে কাজ শেষ না করেই ‘মাস্টাররোল’ তৈরি করে ফেলা হয়েছে। ‘দুর্নীতি বন্ধে’র দাবিতে গত ২৬ জুন গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখান। পোলবা থানাতেও এ বিষয়ে অভিযোগ হয়। অভিযোগ, এরপর থেকে প্রতিবাদকারীদের ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া বন্ধ করে দেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। এ দিন সকালে আলিনগর-পোলবা রাস্তায় ঘণ্টা দু’য়েক অবরোধ হয়। পঞ্চায়েতের ‘দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের কৃষিমজুর সংগঠন সারা ভারত কৃষিমজুর সমিতিও। সমিতির তরফে গোপাল রায় বলেন, “একাধিক প্রকল্পে গরমিল করেছে ওই পঞ্চায়েত।” পঞ্চায়েত প্রধান নির্মল ঘড়া অবশ্য বলেন, “সরকারি নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে কিছু করার প্রশ্নই নেই। সব প্রকল্পের কাজই নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে। আসলে, অসাধু কিছু ঠিকাদার গ্রামবাসীদের ভুল বোঝাচ্ছে।” বিডিও শর্মিষ্ঠা ঘোষদাস বলেন, “অভিযোগ যথাযথ ভাবে খতিয়ে দেখা হবে।”
|
মারধরে মৃত্যু মাছ ব্যবসায়ীর |
বালিতে মারধরের জেরে এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বালির নপট্টি এলাকায়। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সত্যনারায়ণ ঘোষ। তাঁর বাড়ি নিশ্চিন্দা দক্ষিণপাড়ায়। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নপট্টির বাসিন্দা সোমনাথ সিংহ, রাজু সিংহ ও তাঁদের দিদি আহ্লাদি এবং প্রতিবেশী তুতুলি মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার অজেয় রানাডে সোমবার বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে।” পুলিশ জানায়, সত্যনারায়ণ পেশায় মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। বালিঘাট বাসস্ট্যান্ডের কাছে মাছ বিক্রি করতেন। প্রাথমিক ভাবে খবর মিলেছে, আহ্লাদি সিংহ নামে ওই অবিবাহিত মহিলার সঙ্গে সত্যনারায়ণের ঘনিষ্ঠতার কারণে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। তারই জেরে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।
|
ট্রাকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু হরিপালের গ্রামে |
মায়ের সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের তলায় পিষ্ট হয়ে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির নালিকুলের অনন্তপুরে অহল্যাবাঈ রোডে। পুলিশ জানায়, মৃত শিশুটির নাম কারিমা খাতুন (৬)। বাড়ি জাঙ্গিপাড়ার কাশীপুরে। দিনকয়েক আগে সে মায়ের সঙ্গে নালিকুলের হরিহরপুরে মামার বাড়িতে এসেছিল। সোমবার সকালে বাড়িতে ফিরছিল। সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ বাস ধরার জন্য রাস্তা পার হওয়ার সময়েই ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। চালক ট্রাকটি নিয়ে পালায়। হরিপাল থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। |