টিটাগড় থেকে ধৃত ৫ পাক নাগরিক
ভিসার মেয়াদ ফুরনোর পরেও অবৈধ ভাবে এ দেশে থাকা-সহ একাধিক অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় থেকে একই পরিবারের পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিককে ধরেছে পুলিশ। স্থানীয় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে সুদের কারবার শুরু করেছিল ওই পরিবার। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে এ দেশে বসবাস-সংক্রান্ত একটি
নবাব খান
আমির খান
শংসাপত্রের (রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট) ‘ফটোকপি’ মিলেছে। এমনকী, নিজেদের নামে প্যান কার্ডও তারা জোগাড় করে ফেলেছিল।
রবিবার রাতে ওই পাঁচ জনকে ধরে হুগলি জেলা পুলিশ। হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “গোয়েন্দা দফতরের দেওয়া নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ওই পাঁচ জনকে ধরা হয়েছে।” বিশদ তথ্য সংগ্রহের জন্য ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাস এবং গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। প্রমাণ লোপ, পুলিশকে বিভ্রান্ত করা, সরকারকে ভুল তথ্য দেওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম নবাব খান, শাজেহান বেগম, আমির খান, ইসরাত বেগম এবং আজরা খাতুন। বছর তেষট্টির নবাবের স্ত্রী শাজেহান। আমির ওই দম্পতির ছেলে। ইসরাত ও আজরা নবাব-শাজেহানের মেয়ে। পরিবারটি করাচির ওরাঙ্গি টাউনের রহিম শাহ কলোনির বাসিন্দা। ২০১১-র ২৫ মার্চ ইসলামাবাদ থেকে তাঁদের এক মাসের পর্যটক-ভিসা দেওয়া হয়। ওই বছরের ১৪ এপ্রিল অমৃতসরে আটারি সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢোকেন নবাবরা। রিষড়ার আব্দুল কালাম আজাদ রোডের বাসিন্দা মহম্মদ ওসমান গনির বাড়িতে ওঠেন। ওসমানের ছেলের সঙ্গে ইসরাতের বিয়ে হয়। একটি সন্তানও হয় তাঁদের। রিষড়া থেকে কিছু দিনের মধ্যেই টিটাগড়ে চলে যান নবাবরা। সেখানে জিসি রোডে একটি বাড়ি ভাড়া নেন। রবিবার সেখান থেকেই তাঁদের ধরে পুলিশ। সোমবার শ্রীরামপুর আদালতের এসিজেএম রতন দাস নবাব এবং আমিরকে ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে, বাকিদের ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
কিন্তু ওই পরিবারের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার এত দিন বাদে কেন টনক নড়ল গোয়েন্দাদের? হুগলি পুলিশ জানিয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নিয়ম অনুযায়ী, ওই পরিবারটি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছিল, তারা পাকিস্তানে ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু আদপে তারা তা করেনি। গোটা বিষয়টি যে কারণে হদিস করতে কিছুটা সময় লেগেছে।
পুলিশের দাবি, ওই পরিবারটির কাছ থেকে মেলা ‘রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট’-এর ফটোকপি অনুযায়ী, তারা টিটাগড়ের ‘স্থায়ী বাসিন্দা’। যাতে সই রয়েছে ব্যারাকপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূল কাউন্সিলর অমরিন্ত তৈয়বের। পুলিশ সূত্রের খবর, পরিবারটি পুলিশকে জানিয়েছে, টাকা দিয়ে ওই শংসাপত্র জোগাড় করে তারা। অমরিন্ত বলেন, “ওই পরিবারটিকে কোনও শংসাপত্র দিয়েছিলাম কি না, মনে করতে পারছি না। কাগজপত্র দেখে বলতে পারব। তবে টাকা নিয়ে শংসাপত্র দেওয়ার প্রশ্নই নেই।”

—নিজস্ব চিত্র



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.