মহারাষ্ট্র সচিবালয়ের আগুনের আঁচে এ বার পেটে টান পড়তে পারে খোদ সাংসদদেরই।
গত মাসে মুম্বইয়ে আচমকা আগুনে পুড়ে গিয়েছিল পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ সরকারের সচিবালয়। তারই জেরে নড়েচড়ে বসে দিল্লিতে সংসদে স্পিকারের দফতর। দমকলের সমীক্ষায় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আজ থেকে সংসদের ‘মাস্টার ক্যান্টিন’ বন্ধ করে দেওয়া হল। সংসদের খাবার রান্না এবং পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা উত্তর রেলওয়ে জানিয়েছে, শীঘ্র ওই ক্যান্টিনটি চালু হচ্ছে না। আবার সংসদের খাদ্য বিষয়ক কমিটির পক্ষে ডি রাজা জানিয়েছেন, বর্ষা অধিবেশনের আগে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু চলতি মাসেই সংসদের বর্ষা অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে সংসদের মূল ক্যান্টিনের ‘ফিট’ শংসাপত্র পাওয়ার আশা ক্ষীণ। আর তা হলে অধিবেশনের শুরুতেই ‘পেটের টানে’ সরব হতে পারেন বিরোধীরা। |
সংসদের প্রধান ক্যান্টিনটি রয়েছে মূল ভবনের দোতলায়। তার নীচে রাজ্যসভা-লোকসভা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী, সংসদের দুই কক্ষের বিরোধী দলনেতা, লোকসভার স্পিকার, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দফতর। রয়েছে সেন্ট্রাল হলও। অধিবেশন চলাকালীন গড়ে উপস্থিত থাকেন সাড়ে ৭০০-র বেশি সাংসদও। দিল্লি দমকল যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্পিকারের দফতরের। বলা হয়েছে, যে ভাবে সংসদের ক্যান্টিনে এলপিজি সিলিন্ডারে রান্না করা হয়, তাতে বড় বিপদ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। আগুন লাগলে নেভানোর যথেষ্ট উপকরণও নেই সংসদে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ‘আপাতত’ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রধান ক্যান্টিনটি। সংসদের মূল ভবনের পাশের অ্যানেক্স ভবনেই এখন থেকে রান্না হবে। তা পরিবেশন করা হবে মূল ভবনে। আর এখানেই সমস্যায় পড়েছে উত্তর রেলওয়ে।
উত্তর রেলওয়ের দেওয়া এত লোকের রান্না করা কার্যত অসম্ভব। ফলে অধিবেশন শুরু হলে তাঁরা কাকে ছেড়ে কাকে খাওয়াবেন, তা নিয়েই ফাঁপরে উত্তর রেলওয়ের কেটারিং কর্মীরা।
দমকলের পক্ষ থেকে ক্যান্টিনে এলপিজি সিলিন্ডারের পরিবর্তে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয়েছে। আগুন মোকাবিলায় কিছু আচরণবিধিও মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্ষা অধিবেশন শুরুর আগে গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হলেও তা সময়ে শেষ হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। |