দাবি সমীক্ষায় প্রসংশায় ক্রিসিল • টাকা ৫৫.৪৩ • রফতানি সেই তিমিরেই
শিল্প বৃদ্ধি দু’বছরে দ্রুততম
ভারতীয় অর্থনীতির পালে ফের হাওয়া। আর, তাতে ভর করেই শিল্পোৎপাদন গত দু’বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে জুনেই বেড়েছে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে। কর্মী নিয়োগও বেড়েছে একই ছন্দে। ভারতে নতুন করে পুঁজি বিনিয়োগের এটাই মাহেন্দ্রক্ষণ বলে ইতিমধ্যেই রায় দিয়েছে অনেক দেশি-বিদেশি সংস্থা। ভারতীয় শেয়ার বাজারেও ফিরছে বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নি।
ভারতীয় অর্থনীতির এই ঘুরে দাঁড়ানোর ছবিই ধরা পড়েছে সোমবার প্রকাশিত এইচএসবিসি-র সমীক্ষায়। বেড়েছে ‘এইচএসবিসি ম্যানুফ্যাকচারিং পার্চেজিং ম্যানেজার্স ইন্ডেক্স’ (পিএমআই) বা শিল্পের বিপণন সূচক। জুনে তা ছুঁয়েছে ৫৫, যা গত চার মাসে সর্বোচ্চ। মে মাসে তা ছিল ৫৪.৮। এইচএসবিসি জানিয়েছে, এই সূচক ৫০-এর উপরে থাকা মানেই কারখানার উৎপাদন বাড়ার ইঙ্গিত। তার নীচে নামলে সেটা শিল্পোৎপাদন সরাসরি কমার লক্ষণ। এই সূচক হিসাবের জন্য বেসরকারি সংস্থার প্রায় ৪০০ জন বিপণন কর্তার উপর প্রতি মাসে সমীক্ষা চালায় এইচএসবিসি। তাঁদের কাছ থেকে বরাতের পরিমাণ, ক্রেতার চাহিদা ইত্যাদি তথ্যের ভিত্তিতে হিসাব করা হয় সূচক।
সংস্কারের পথে হেঁটেই অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংহের অঙ্গীকার কিছুটা ‘জাদু’ দেখিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার জেরে ভারতীয় অর্থনীতির গুণগান গেয়েছে মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল-ও। সোমবারই তারা পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী মার্চের মধ্যে ডলারে টাকা ফের উঠে আসবে ৫০-এ। সংস্থার গবেষণা বিভাগ অবশ্য টাকার দাম বাড়ানোর পথও বাতলেছে। যেমন: (১) আর্থিক বৃদ্ধি (যা নেমেছে ৫.৩ শতাংশে) আর কমতে না দেওয়া, (২) মূল্যবৃদ্ধি (৭.৫৫%) নিয়ন্ত্রণে রাখা, (৩) লেনদেন খাতে ঘাটতি কমানো। ডলারে টাকা তলানি থেকে ইতিমধ্যে অনেকটাই উপরে উঠেছে। প্রতি ডলারে টাকা যেখানে সম্প্রতি নেমেছিল ৫৭.৩২-এ, সেখানে এ দিন তা দাঁড়িয়েছে ৫৫.৪৩ টাকা। আগের দিনের থেকে ১৮ পয়সা বেশি। প্রসঙ্গত, স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এস অ্যান্ড পি)-এরই ভারতীয় শাখা ক্রিসিল। যে এস অ্যান্ড পি সম্প্রতি ভারতীয় অর্থনীতির মূল্যায়ন কমানোর হুমকি দেয়।
শিল্পের চাকা এগিয়ে গেলেও তাতে সামিল হতে পারেনি রফতানি ক্ষেত্র। বিশেষ করে ইউরোপে মন্দা বিদেশের বাজার সঙ্কুচিত করেছে। আজ প্রকাশিত প্রাথমিক সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মে মাসে রফতানি ৪.১৬% কমে হয়েছে ২৫৬৮ কোটি ডলার। আমদানিও ৭.৩৬% কমে ৪১৯০ কোটি ডলারে।
তবে ভারতীয় অর্থনীতির সুদিন ফিরছে বলে অনেকেই লগ্নির ঝাঁপি নিয়ে হাজির হয়েছে। যেমন, সুইডিশ আসবাব সংস্থা আইকিয়া ও কোকা কোলা জুনেই ৫০০ কোটি ডলার (প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা) লগ্নির অঙ্গীকার করেছে। উপরন্তু মনমোহনী দাওয়াই অর্থনীতির রথকে কতটা এগিয়ে দেয়, সে দিকেই এখন নজর বিশেষজ্ঞদের।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.