খারাপ ট্রান্সফর্মার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারিয়ে দেওয়া, ভূয়ো বিদ্যুৎ বিল বাতিল করা-সহ দশ দফা দাবিতে সোমবার শান্তিনিকেতন গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসে স্মারকলিপি দিল কৃষি বাঁচাও কৃষক বাঁচাও সমিতি। ছিল স্যালো-সাবমার্সিবল কৃষিজীবী সংগঠনও।
কৃষি বাঁচাও-কৃষক বাঁচাও সমিতির জেলা আহ্বায়ক মহম্মদ সাদাক্কাস-এর অভিযোগ, “বোরো চাষের মরসুম চলে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ দিয়েছে। চাষই হল না, কিন্তু বিল এসেছে। এত টাকা আমরা কোথায় পাব?” সংগঠনের আরও অভিযোগ, পাড়ুই থানার সাত্তোর পঞ্চায়েতের কেন্দ্রডাঙাল গ্রামের জাহাঙ্গির হোসেন, প্রবীরচন্দ্র ঘোষ, নূর মহম্মদদের মতো চাষিদের বাড়তি বিল এসেছে। ওই সব প্রান্তিক চাষিদের পক্ষে এই হাজার হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল মেটানো সম্ভব নয় বলেই ওই সংগঠনের দাবি। এ দিকে বিষ্ণুখণ্ডা গ্রামের সাধন দাস, যাদবপুরের সৈকত মোল্লা, সাত্তোর বদরে আলমদের অভিযোগ, “আমাদের কারও ৪৫ হাজার কারও ৪৮ হাজার টাকা করে বিল এসেছে। চাষের জন্য জল ব্যবহারই করলাম না অথচ যা খুশি তাই বিল এসেছে।” |
বোলপুরে ছবিটি তুলেছেন বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
শান্তিনিকেতন গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই দফতরের স্টেশন ম্যানেজার মহম্মদ সোহেল হাসান বলেন, “চাষিরা যাতে কয়েক কিস্তিতে বিল জমা দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া বিল নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। চাষিদের অন্য দাবিগুলি কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
গণ্ডগোলের আশঙ্কায় এ দিন দুপুরে ওই দফতরে পুলিশ মোতায়েন ছিল। অন্য দিকে, কোথাও দু’মাস কোথাও দেড় মাস খারাপ হয়ে যাওয়া ট্রান্সফর্মার বদল না করায় সোমবার রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির মুরারই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন মুরারইয়ের ভাটরা ও রাজগ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। এ দিন সকালে ক্ষুব্ধ ওই গ্রামবাসীরা ওই দফতরের কর্মীদের ঘণ্টাখানেক বাইরে বের করে দিয়ে যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ করে দেন। |