নজরদারি বাড়ানোর দাবিতে সোমবার রামপুরহাট স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস। তার আগে জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মির নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে স্টেশন পর্যন্ত মিছিল করেন। ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির জন্য সভাপতি রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন। পাশাপাশি তিনি ওই কিশোরীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সৈয়দ সিরাজ জিম্মির হুমকি, “স্টেশন চত্বর এলাকায় নিরাপত্তা ও যাত্রীদের সুরক্ষার ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ সদর্থক ভূমিকা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” স্টেশন ম্যানেজার অলোক কুমার অবশ্য দাবি করেছেন, “শুক্রবার রাতে রামপুরহাট স্টেশন এলাকায় কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। যদি কিছু ঘটে থাকে, সেটা স্টেশনের বাইরে হয়ে থাকবে। নজরদারি বাড়ানোর জন্য রেলপুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর কর্মীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।” |
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুই কিশোরী জারমন্ডিতে ফেরার পথে দুমকার বাস না পেয়ে রাতে রামপুরহাট স্টেশনের ওয়েটিং রুমে আশ্রয় নিয়েছিল। জল নিতে যাওয়া এক কিশোরীকে তিন যুবক তুলে নিয়ে যায়। দু’জন তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সঙ্গী আর এক কিশোরী তার খোঁজে সেখানে গেলে তাকেও শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত ধর্ষণে অভিযুক্ত দু’জন ধরা পড়েনি। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “তল্লাশি চলছে। ওই দুই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।”
পুলিশের দাবি, যাকে শ্লীলতাহনি করা হয়েছে বলে অভিযোগ, বাড়িতে বকাবকি করায় ওই কিশোরী পালিয়ে এসেছে। তা ছাড়া, অপর কিশোরীর তথ্যেও অসঙ্গতি রয়েছে। পুলিশের দাবি, যে জায়গায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগে ওই কিশোরী জানিয়েছে, সেই জায়গাটি রামপুরহাট স্টেশন চত্বর ছাড়িয়ে প্রায় ২ কিমি দূরে। যা এক জন কিশোরীর পক্ষে ওই জায়গা চিহ্নিত করা মুশকিল বলে পুলিশের দাবি। যদিও জলের বোতল আনতে গেলে তাকে এলাকার একটি মাঠে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। সেই তথ্য ধরেই তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |