জরুরি ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
ইঞ্জেকশন কেনা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় দু’মাস ধরে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ল্যাসিক্স ইঞ্জেকশনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন রোগীদের পরিবারের লোকজনেরা। প্রতিদিনই চিকিৎসকদের পরামর্শে রোগীদের পরিবারের লোকজন বাইরে থেকে ওই ইঞ্জেকশন কিনে আনতে বাধ্য হচ্ছেন। দাম কম হলেও বাইরে থেকে জরুরি ওই ইঞ্জেকশন কেনা নিয়ে রোগীদের পরিবারের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অভিযোগ, হাসপাতাল সংলগ্ন বহু দোকানেই ওই ইঞ্জেকশন মিলছে না। এমনকী, গভীর রাতে শহরের বেশির ভাগ ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় ওই ইঞ্জেকশন কিনতে গিয়ে রোগীদের পরিবারের লোকেদের চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “ই টেন্ডারের মাধ্যমে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ল্যাসিক্স ইঞ্জেকশন কিনে তা রাজ্যের সবকটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ায় হাসপাতালে ল্যাসিক্স ইঞ্জেকশনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে বাইরে থেকে ওই ইঞ্জেকশন কিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা রোগীদের পরিবারের লোকজনকে বাইরে থেকে ওই ইঞ্জেকশন কেনার পরামর্শ দিতে বাধ্য হচ্ছেন।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১০ হাজার ল্যাসিক্স ইঞ্জেকশন প্রয়োজন হয়। জরুরি বিভাগ-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ জন রোগীকে ল্যাসিক্স ইঞ্জেকশন দেন চিকিৎসক ও নার্সরা। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ, কিডনির সমস্যা, এনসেফেলাইটিস রোগে আক্রান্তদের ওই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এ ছাড়াও কোনও রোগীর প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে, শরীরের অতিরিক্ত জল বার করতে ও শরীরে স্যালাইন বেশি পরিমাণে ঢুকে গেলে ওই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। পাশাপাশি, রোগীকে রক্ত দেওয়ার আগে ওই ইঞ্জেকশন দেওয়া বাধ্যতামূলক। হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র পাল জানান, দুমাস সরকারি ভাবে হাসপাতালে ল্যাসিক্স ইঞ্জেকশনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রোগীর পরিবারের লোকজনকে বাইরে থেকে ওই ইঞ্জেকশন কিনে আনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “খোলাবাজারে ওই ইঞ্জেকশন এক একটি ২-৩ টাকা দরে বিক্রি হলেও মাঝেমধ্যেই ওই ইঞ্জেকশন মেলে না। তখন রোগীর পরিবারের লোকেরা বিপাকে পড়ছেন বলে জানতে পেরেছি।” রায়গঞ্জ নাগরিক সমিতির সম্পাদক তপনকুমার চৌধুরী বলেন, “সরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়ে তাঁদের পরিবারের লোকজনকে কেন বাইরে থেকে ইঞ্জেকশন কিনতে হবে সেই প্রশ্নের জবাব আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইব।”
খুন। ডাইনি অপবাদে খুনের ঘটনা ঘটল ডুয়ার্সে। শনিবার রাতে মালবাজারের রানিচেরা চা বাগানের শ্রমিক আবাস থেকে বৃদ্ধাকে তুলে পিটিয়ে চলন্ত ট্রেনের নীচে ফেলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। নাম বুধনি তিরকি (৭০)। বাড়ি রানিচেরা চা বাগানের বালাবাড়ি ডিভিশনে। |