হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির জন্য শহরের ডাঙাপাড়ার প্রস্তাবিত জমিই উপযুক্ত। রবিবার ডাঙাপাড়ার প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন করে এমনটাই মনে করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য গঠিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কমিটি। এদিন কমিটির সদস্যরা ডাঙাপাড়ার জমিটি পরিদর্শন করেন। এলাকাবাসীর সঙ্গেও কথা বলেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন কুমার সরকারও পরিদর্শনকারী দলের সঙ্গে ছিলেন। ডাঙাপাড়ার যে জমিতে সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেই জমিতে একটি পুরানো হাসপাতাল ছিল। বেসরকারি উদ্যোগে হাসপাতালটি চললেও সরকারি সহযোগিতাও হাসপাতালটি পেত বলে জানা গিয়েছে। এই পরিত্যক্ত হাসপাতালের জমিতেই সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাস্পাস তৈরির জন্য প্রস্তাব এসেছে। জমিটি যাদের মালিকানাধীন রয়েছে, সুধীর বসুর পরিবারের তরফেও সরকারকে বিনামূল্যে জমিটি হাসপাতাল করার জন্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। |
জলপাইগুড়ির ডাঙাপাড়ায় জমি পরিদর্শনে কমিটি। রবিবার। ছবি: রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়। |
এদিন পরিদর্শনের সময় বসু পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান সুব্রত মৈত্র বলেন, “ডাঙাপাড়ার এই হাসপাতালের কথা আগে থেকেই জানি। এদিন এলাকা পরিদর্শন করেছি। সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি করার জন্য এটাই উপযুক্ত জায়গা। এখানে মাতৃত্ব ও শিশু বিভাগ চালু করা যেতে পারে। আমাদের প্রস্তাবে পুরো বিষয়টি জানিয়ে সরকারের কাছে পাঠাব।” বিভিন্ন জেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামো কীভাবে উন্নতি করা যায়, সে বিষয়ে পরিদর্শনের পরে প্রস্তাব তৈরি করবে এই কমিটি। কোচবিহার জেলার পরিদর্শনের পরে কমিটির সদস্যরা জলপাইগুড়িতে এসেছেন। এদিন ডাঙাপাড়ায় পরিদর্শনের সময় জেলার সরকারি আইনজীবী সোমনাথ পাল উপস্থিত ছিলেন। সোমনাথবাবু বলেন, “জলপাইগুড়ির জন্য এটি খুবই সুখবর।” বসু পরিবারের তরফে শেখরবাবু ও প্রদীপবাবু বলেন, “পুরানো হাসপাতালের কর্ণধার ছিলেন শহরের প্রখ্যাত চিকিৎসক সুধীর বসু। তার এই সৃষ্টিকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা চাইছি সরকার এই জমিতে হাসপাতাল তৈরি করুক। আমরা বিনামূল্যে সরকারকে জমি দান করে দেব।” |