ভাগীরথীর ভাঙন রোধে ইসলামপুর ও চালতাবাড়িতে দু’টি প্রকল্প ঘোষণা করল রাজ্য সেচ দফতরের ভাঙন প্রতিরোধ শাখা। আট কোটির ওই প্রকল্প দু’টি অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সেচ দফতরের কর্তারা। রবিবার সাগরদিঘির গ্রামে ভাঙন পরস্থিতি ঘুরে দেখেন মৎস্যমন্ত্রী সুব্রত সাহা ও সেচ দফতরের কর্তারা। সুব্রতবাবু বলেন, “ভাঙন বহুদিন ধরেই চলছে। বছর খানেক আগে সাময়িক ভাবে সমস্যা মেটানো হয়েছিল। জানুয়ারিতে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রধান সড়কের একাংশ নদীতে তলিয়ে গিয়েছে।” |
ভাঙন প্রতিরোধ দফতরের রঘুনাথগঞ্জ শাখার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তুষার অধিকারী বলেন, “ইসলামপুরে ভাঙন রুখতে ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার একটি প্রকল্প শুরু হচ্ছে। চালতাবাড়ির জন্য ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার প্রকল্প হচ্ছে। দু’টি প্রকল্পই অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। অস্থায়ী ভাবে বালির বস্তা ফেলে বাঁধ তৈরির কাজ করা হবে। পাশের গাদিগ্রামেও ভাঙন মোকাবিলায় অস্থায়ী বাঁধ তৈরির জন্য ৩৬ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে ওই অস্থায়ী বাঁধ তৈরির জন্য অর্থ সংস্থান নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে।” মন্ত্রী সুব্রতবাবু অবশ্য বলেন, “অফিসারদের বলা হয়েছে প্রকল্প তৈরি করতে। যে ভাবে হোক টাকার ব্যবস্থা করা হবে।” ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধের প্রতিশ্রুতিতে স্বভাবতই আশাবাদী ইসলামপুরের মানুষ। তবে এখনও প্রকল্পগুলির অনুমোদন না মেলায় ধোঁয়াশা কিছুটা রয়েই যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ভাঙনে ভিটে-মাটি হারানো ইসলামপুর ও চালতাবাড়ির মানুষের সমস্যা মিটবে তো? আশায় বুক বাঁধছে ইসলামপুর। |