|
|
|
|
বেআইনি ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ শ্যামপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্যামপুর |
শ্যামপুরের শিবগঞ্জ ফেরিঘাটের কাছেই হুগলি নদীর বাঁধের উপরে গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এই গাছগুলি নদীবাঁধের ভাঙনরোধে সাহায্য করে। কিন্তু অবাধে গাছ কাটার ফলে বাঁধের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় অনুমতি না-নিয়েই অবাধে চলছে গাছ কাটা। |
|
যা ছিল এবং যা হয়েছে। ছবি: হিলটন ঘোষ। |
উল্লেখ্য, গাছ কাটার আগে বন দফতরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু বন দফতরের শ্যামপুরের রেঞ্জার অশোককুমার দাশ বলেন, “শিবগঞ্জে ভাগীরথী দুগ্ধ সমবায় নামে একটি সমবায় সমিতিকে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার বাইরে গাছ কাটার জন্য আর কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা জানা নেই।” এ বিষয়ে ভাগরথী দুগ্ধ সমবায় সমিতির এক কর্তা জানান, তাঁরা গাছ কাটার অনুমতি নিয়েছেন বন দফতরের কাছ থেকে। তবে তার কোনওটাই নদীবাঁধের উপরে নয়। কারা এ ভাবে নদী বাঁধের গাছ কাটছে তা তাঁরা জানেন না। যে এলাকায় গাছ কাটা হচ্ছে সেটি ডিঙাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন। প্রধান তৃণমূলের সাগরিকা বাগ বলেন, “কারা ওই গাছ কাটছেন বা আদৌ গাছ কাটা হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নেই।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এলাকাটি সেচ দফতরের অধীন। ফলে আমার পক্ষে বিস্তারিত খোঁজ-না-নিয়ে কিছুই বলা সম্ভব নয়।” অন্য দিকে সেচ দফতরের উলুবেড়িয়া সাব ডিভিশনের পক্ষে বিশ্বনাথ দাস বলেন, “কোনও নদীরবাঁধে গাছ কাটা হলে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধানেরাই সাধারণত সেই খবর আমাদের জানান। আমি সদ্য বদলি হয়ে এসেছি। এ ব্যাপারে আমি দফতরের বিভাগীয় আধিকারিকদের খোঁজ নিতে নির্দেশ দিয়েছি। যদি বেআইনিভাবে গাছ কাটা হয় তা হলে বিষয়টি পুলিশকে জানাতে বলেছি।” |
|
|
|
|
|