অবৈধ কয়লা পাচারে অভিযুক্ত রাকেশ সিংহকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দুর্গাপুর থানার পুলিশ জানায়, ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৬ রাউন্ড কার্তুজ, প্রায় ১০ কেজি গাঁজা-সহ ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সিটিসেন্টারের একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের সামনের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিল রাকেশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাদা পোশাকের পুলিশ সেখানে অপেক্ষা করছিল। গাড়ি আটকে গ্রেফতার করা হয় রাকেশকে। এডিসিপি (পূর্ব) শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানান, অবৈধ কয়লা কারবার ছাড়াও ধৃতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের অনুমান, চুরি-ডাকাতির পাশাপাশি ইদানীং গাঁজা পাচার শুরু করেছিল রাকেশ। |
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের দীর্ঘদিনের সহযোগী ছিল বিহারের সিওয়ানের বাসিন্দা এই রাকেশ। ২০১১-এর ৩ জুলাই রানিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হয় রাজু। পুলিশের দাবি, তার পর থেকেই রাকেশের রোজগারে টান পড়তে শুরু করে বলে। পরপর বেশ কয়েক জন কয়লা মাফিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করায় রাকেশ গা ঢাকা দেয়। পুলিশের একাংশ ধরে নিয়েছিল, রাকেশ সিওয়ানে নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছে। কিন্তু সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় ৩১ মার্চ।
ইস্পাতনগরীর বি-জোনের রাজেন্দ্রপ্রসাদ অ্যাভিনিউয়ের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ ওই দিন ৭ জনকে পাকড়াও করে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র মেলে। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি প্রেস স্টিকার সাঁটানো নম্বরপ্লেটহীন গাড়ি। তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, সিটিসেন্টারের একটি বড় গয়নার দোকানে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল তারা। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানায়, তাদের দলের পাণ্ডা রাকেশ। ডাকাতির জন্য সে তাদের জড়ো করেছিল। আরও কিছু অস্ত্রশস্ত্র এনে দেওয়ার কথা ছিল রাকেশের। তারই অপেক্ষায় ছিল তারা। |
পুলিশ জানায়, তদন্তে নেমে জানা যায়, রাজু ধরা পড়ার পরে রাকেশ অন্য নানা ভাবে রোজগারের চেষ্টায় নামে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে দুর্গাপুরে প্রেস স্টিকার সাঁটানো গাড়িতে ঘুরতে শুরু করে সে। এ দিকে, ডাকাতির ঘটনায় দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার পরে পুলিশের একটি দল সিওয়ানে রাকেশের খোঁজে যায়। কিন্তু হদিস মেলেনি। শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় সে।
|