একাধিক ঘূর্ণাবর্তেই গতি বৃদ্ধি
তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে পারে বর্ষা
বশেষে স্বস্তি পেতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ।
মঙ্গলবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে চলেছে বলে শনিবার জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আর তা হলে, স্বাভাবিক সময়ের ১১ দিন পরে এ বার দক্ষিণবঙ্গে পা ফেলতে চলেছে বর্ষা।
বঙ্গোপসাগরে একাধিক ঘূর্ণাবর্তের জেরে বর্ষা ফের গতি ফিরে পেয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে শনিবার জানানো হয়েছে। তামিলনাড়ু উপকূল ছেড়ে তা এগিয়ে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা উপকূলের দিকে। আবহবিদদের আশা, ওই ঘূর্ণাবর্তটি আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং মঙ্গলবারের মধ্যে তা বর্ষাকে ঠেলে ঢুকিয়ে দেবে দক্ষিণবঙ্গে।
শনিবার থেকেই গোটা দক্ষিণবঙ্গে প্রাক-বর্ষার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিও। আজ, রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের অন্য সব অঞ্চলে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছেন।
সাধারণত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকে ৮ জুন। সে ক্ষেত্রে ৫-৬ জুন থেকেই প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। এ বার সেই বৃষ্টি শুরু হল ১১ দিন পরে। আর বর্ষাও ঢুকতে চলেছে স্বাভাবিক সময়ের ১১ দিন পরে, ৮ জুনের জায়গায় ১৯ জুন।
মে মাস থেকেই দক্ষিণবঙ্গে এ বার বৃষ্টির আকাল চলছে। ১ জুনের জায়গায় কেরলে বর্ষা ঢুকেছে ৫ জুন। ৬ জুন থেকে টানা সাত দিন সে দাঁড়িয়েছিল এক জায়গায়এক দিকে সিকিম, অন্য দিকে গোয়ায়। ১২ তারিখে একটা ধাক্কা খেয়ে তামিলনাড়ুর ভিতরে চলে আসে বর্ষা। কিন্তু তাতে দক্ষিণবঙ্গের কোনও লাভ হয়নি। শনিবারের ঘূর্ণাবর্ত ফের বর্ষাকে আর এক ধাপ এগিয়ে দিল।
কিন্তু বর্ষা পথে দেরি করে ফেলায় কৃষকেরা উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। আমন ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করা যায়নি। মাঠের পাট বৃদ্ধি পাচ্ছিল না। মার খাচ্ছিল সব্জি চাষ। বাজারে তাই গ্রীষ্মের সব্জি অগ্নিমূল্য। এই পরিস্থিতিতে বর্ষা আরও দেরি করলে আমন ধানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় চাষিরা এখন বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করতে পারবেন। বর্ষার প্রথম কয়েক দিন ভাল বৃষ্টি হলে আমনের চারা তৈরি হতে তেমন সমস্যা হবে না বলেই কৃষি বিশেষজ্ঞদের মত।
ঘূর্ণাবর্তের জেরে প্রাক-বর্ষার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের আকাশে এখন কালো মেঘ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও হচ্ছে শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও। সর্বোচ্চ তামপাত্রা কমেছে। অস্বস্তিকর আবহাওয়া অনেকটা কেটে গিয়েছে। আজ,
রবিবার থেকে অস্বস্তিকর অবস্থা আরও কেটে যাবে বলেই এ দিন আবহবিদেরা আশা করছেন।
উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিঙের একাংশে বর্ষা ঢুকেছে গত ৫ জুন, কেরলের সঙ্গে একই দিনে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া বর্তমান ঘূর্ণাবর্তটি সক্রিয় থাকলে মঙ্গল-বুধবারের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বর্ষা ছড়িয়ে পড়বে বলে আবহবিদেরা আশা করছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.