নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নতুন জাতীয় ডাচ কোচ উইম কোভারম্যান্স দায়িত্ব নেওয়ার পর সাহায্য ও পরামর্শ চেয়েছিলেন ক্লাব কোচেদের। এক দিনের মধ্যেই তাঁর ভাবনায় জল ঢেলে দিল দেশের সেরা ক্লাবগুলো। তারা একযোগে সিদ্ধান্ত নিল, জাতীয় শিবিরে ফুটবলার ছাড়া হবে ফিফার নিয়ম মেনেই। অর্থাৎ যা দাঁড়াল তাতে নতুন জাতীয় কোচ তাঁর প্রথম টুর্নামেন্ট নেহরু কাপে নামার মাত্র চার দিন আগে জাতীয় শিবিরের জন্য ফুটবলার পাবেন।
ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ক্লাবগুলির এই জেহাদে গলা মিলিয়ে ক্লাব সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলেন দেশের এক নম্বর কোচ আর্মান্দো কোলাসোও। যিনি ফেডারেশনের বিচারে এ বার বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন। এবং ডেম্পো ক্লাবের সচিব। ভাইচুং ভুটিয়ার ক্লাব ইউনাইটেড সিকিম প্রতিনিধি না পাঠালেও সমর্থন পাঠিয়ে দিল। প্রসঙ্গত, আর্মান্দো ও ভাইচুংয়ের সম্পর্ক মোটেই মধুর নয়।
গোয়ায় শনিবারের সভায় আই লিগের দশটি ক্লাব মিলে যে সিদ্ধান্তগুলি নিল তা এ আই এফ এফের বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদই। ক্লাবগুলি জোট বেধে যে চিঠি পাঠাচ্ছে তাতে প্রধান দু’টো দাবিই হল, এক) ফেডারেশন যে ক্যালেন্ডার নতুন মরসুমের জন্য তৈরি করেছে, তার কিছু পরিবর্তন করতে হবে। ২) দীর্ঘ দিন জাতীয় শিবিরে ফুটবলার আটকে রাখা যাবে না। ফিফার নিয়ম মেনে এ এফ সি-র টুর্নামেন্টের দু’সপ্তাহ আগে ফুটবলার ছাড়া হবে। অন্য টুর্নামেন্টের চার দিন আগে।
ডেম্পো, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, সালগাওকর, পুণে এফ সি-সহ দশটি ক্লাব উপস্থিত ছিল সভায়। সিকিম ইউনাইটেড, ও এন জি সি এবং লাজং এফ সি-র কোনও প্রতিনিধি না এলেও সমর্থন জানিয়ে তাঁরা চিঠি পাঠিয়ে দেন। সভায় ক্লাব কর্তাদের ক্ষোভ ছিল প্রচুর। দাবি ওঠে ক্যালেন্ডার তৈরির সময় কেন ক্লাবগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হল না? জাতীয় শিবিরে ফুটবলার ছাড়া নিয়ে ক্লাবগুলির সঙ্গে ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব বহু দিনের। সভায় ঠিক হয়, আই পি এলের মতো আই লিগের স্বতন্ত্র কমিটি করতে হবে এবং টিভি স্বত্বের লভ্যাংশের অংশ ক্লাবগুলিতে দিতে হবে।
সভায় ডেম্পোর সচিব কাম কোচ আর্মান্দো কোলাসো দাবি তোলেন, আই পি এলের মতো ফুটবলারদের পেমেন্টের ক্ষেত্রে গ্রেডেশন প্রথা চালু হোক। ঠিক হয়, পরের মরসুমের ফুটবলারদের সঙ্গে ক্লাবের চুক্তিপত্র একই রকম হবে। ক্লাব জোটের কমিটিও তৈরি হয় এ দিন। প্রেসিডেন্ট হয়েছেন রাজ গোমস (সালগাওকর)। সচিব চিরাগ তান্না (পুণে এফ সি)। তিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আর্মান্দো কোলাসো (ডেম্পো), শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত (ইস্টবেঙ্গল) এবং দেবাশিস দত্ত (মোহনবাগান)। কোষাধ্যক্ষ ভিক্টর ফার্নান্ডেজ (স্পোর্টিং ক্লুব)। ফেডারেশন সচিব কুশল দাস সাংবাদিকদের অবশ্য বলে দিয়েছেন, “ক্লাবের সঙ্গে আলোচনার দরজা সব সময় খোলা। তবে আইএমজির সঙ্গে চুক্তি থাকায় আই লিগের স্বতন্ত্র কমিটি করা সম্ভব নয়। আর ক্লাব প্রতিনিধিরা তো কমিটিতে এখনও আছেন।” |