গ্রেফতার করা হয়েছিল সোমবার। তার পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তকে আদালতে তোলার ‘সময়’ পেল না পুলিশ। উল্টে, পুলিশের অত্যাচারে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পটনায়। পুলিশের এই গাফিলতিতে নজিরবিহীন ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে গোটা একটি থানাকে।
ভোজপুর থেকে সোমবার নিজের গাড়িতে পটনা আসছিলেন মহম্মদ সলমন নামে এক ব্যবসায়ী। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ পরীক্ষার জন্য তাঁর গাড়িকে দাঁড় করায় মুনের থানার পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় ৫০ হাজার টাকা ও বেশ কয়েকটি চাবি। এর পরেই ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে গিয়ে লকআপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী, তাঁর বাড়িতেও দেওয়া হয়নি এই খবর।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম বিহার সফরে এসেছেন বলে সলমনকে আদালতে তোলা যাবে না, সাফ জানিয়ে দেয় পুলিশ। তাই পরের তিন দিন লকআপেই রেখে দেওয়া হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সিজেএম আদালতে সলমনকে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে বেউর থানায় পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু সলমনের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেয় ওই থানা। এই অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে পটনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে গত কাল সন্ধেয় মারা যান ওই ব্যক্তি। ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে তাঁর দেহ।
এই ঘটনার খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি অভয়ানন্দ। সাসপেন্ড করা হয়েছে ওসি, ৪ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ২ জন অ্যাসিসট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর এবং ৩ কনস্টেবল-সহ গোটা থানাকে। ডিআইজি সুনীল কুমার জানান, মিথ্যা অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও তাঁকে অত্যাচার করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যিনি সলমনকে গ্রেফতার করেছিলেন সেই ধীরেন্দ্র কুমার গত কাল থেকে পলাতক। শুরু হয়েছে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত। |