|
|
|
|
পথ বেহাল, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
শহরের পাকা রাস্তার অস্তিত্ব ক্রমশ বিলীন হতে চললেও প্রশাসনের কোনও রকম হেলদোল না থাকায় এবার সরব হলেন বাসিন্দারা। বর্ষাকালে খানাখন্দে ভরা রাস্তা পেরোতে নাজেহাল ফালাকাটা শহরবাসী। পাকা রাস্তায় বড় বড় গর্তে জল জমে থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বাইক, সাইকেল আরোহীরা। বড় গর্তে চাকা পড়ে আরোহী-সহ উল্টে যাচ্ছে রিক্সা। নতুন করে পিচের প্রলেপ দেও য়া তো দুরঅস্ত, গর্ত বোজাতে পঞ্চায়েত থেকে পূর্ত দফতর কোনও উদ্যোগী হচ্ছেন না বলে অভিযোগ। সিপিএম পরিচালিত ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ক্ষিতীশ রায় বলেন, “কিছু রাস্তা মেরামতির কাছ শুরু হয়েছে। কয়েকটির কাজ করা হবে। তবে পঞ্চায়েত সমিতির একার পক্ষে সমস্ত রাস্তা সারাই করার মতো ক্ষমতা নেই। এক বছর ধরে টাকা তেমন ভাবে পাচ্ছি না আমরা।” বাসিন্দারা জানান, বছর দশেক আগে পঞ্চায়েতের পক্ষে ফালাকাটা শহরের বেশ কয়েকটি পাড়ার রাস্তা পাকা করা হয়। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
তবে তা দীর্ঘদিন ধরে মেরামতি না হওয়ার কারণে সড়কগুলি ক্রমশ বেহাল হয়ে পড়েছে। সুভাষ পল্লি, মাদারি রোড, যাদবপল্লি, মুক্তিপাড়া, দেশবন্ধুপাড়া, মিল রোড, মশল্লাপট্টি, অরবিন্দ পাড়া-সহ বেশ কয়েকটি রাস্তার পিচের চাদর উঠে খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। পূর্ত দফতরের দায়িত্বে থাকা শহরের কেন্দ্রস্থল নেতাজি রোডের পিচ রাস্তা বছর দুয়েক আগে মেরামতি করা হয়। এর মধ্যে ওই পথ চলাফেরার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দুপাশে কয়েকশো দোকানপাট রয়েছে। ফালাকাটা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দিলীপ দত্ত বলেন, “চলাফেরা করা যাচ্ছে না। বেহাল রাস্তার জন্য জলকাদা পেরিয়ে খদ্দের দোকানে আসতে চাইছে না। বিক্রি কমে গিয়েছে।” রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি শ্যামল ভদ্র বলেন, “বিধায়ক কোটায় একটি রাস্তা মেরামতি করা হবে। পঞ্চায়েত রাস্তা মেরামতি কেন করছে না তা বুঝতে পারছি না। ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করানো যেতে পারে।” আরএসপি দলের ফালাকাটা জোনাল কমিটির সম্পাদক জ্ঞানেন দাস বলেন, “পাড়ার রাস্তাগুলি চলার অনুপযুক্ত। মেরামতির জন্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।” কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর কথায়, “বৃষ্টির জলে ভরা গর্ত পাশ কাটিয়ে স্কুলে যাতায়াতের সময় অনেক সময় গাড়ির চাকা ওই গর্তে পড়লে পোশাক ভিজে যাচ্ছে। প্রতিদিন কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে এ জন্য বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|