|
|
|
|
বন্যা রুখতে বিশেষ সেল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বর্ষায় শহরের কোথাও জল জমে যাওয়া, নদী বাঁধ ভেঙে কোনও এলাকা প্লাবিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেই থাকে। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগামী সপ্তাহ থেকে বিশেষ সেল চালু করবেন শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। দিনের বেলায় তো বটেই। দফতর ছুটির পর বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্তও ওই বিশেষ সেল খোলা থাকবে। বর্ষার কারণে কোথাও কোনও সমস্যা সৃষ্টি হলে চটজলদি ওই সেলের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেলের কাজের জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার শ্রম দিবস বরাদ্দ করা হয়েছে। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “বর্ষায় বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেল খোলা হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই সেলটি চালু করা হবে। পুরসভার কাজের সময় অধিকারিকেরা তো থাকছেনই। তার পরেও বিকেল থেকে রাতেবিরেতে বর্ষায় কারণে কোথাও কোনও সমস্যা হলে সেলের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পাশাপাশি জল জমে কোনও এলাকায় বাসিন্দারা বাপিকে পড়লে তাদের জন্য শুকনো খাবার, ত্রাণ বিলির জন্যও আগাম বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, বর্ষা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রায় ৫ হাজারের মতো বালির বস্তা মজুত রাখা হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পুরসভার পূর্ত দফতরের তরফে ওই বালির বস্তা তৈরির কাজ চলছে। পুরসভার সাফাই বিভাগের উদ্যোগে শহরের হাই ড্রেনগুলি পরিষ্কার করার কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত। যদিও বিরোধী বামেদের তরফে অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন ওয়ার্ডগুলিতে নিকাশি নালাগুলি পরিষ্কার না করায় বর্ষায় শহর বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত কয়েক বছর শহরে বর্ষার অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, শক্তিগড় এবং লাগোয়া অশোকনগর, নিউ মিলনপল্লির মতো এলাকা বানভাসি হয়ে পড়ে। মহিষমারির নদীর জল ঢুকে চম্পাসারি, সমরনগরের মতো এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভূমির ঢাল অনুসারে শহরের ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ নম্বর ওয়ার্ড এবং লাগোয়া এলাকার জল ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে গিয়ে মহানন্দায় পড়ে। বর্ষায় তাই অনেক ক্ষেত্রেই ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গানগর, রাজীবনগরের মতো এলাকাগুলতে জল জমে যায়। জল জমে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীতলাপাড়া, বিদ্যাসাগরপল্লি এলাকাগুলিতেও। সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্তের দাবি, নর্দমাগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে নিকাশি নালার উপর দোকান তৈরি হওয়ায় নালা সাফাই করতে বেগ পেতে হচ্ছে পুরকর্মীদের। বর্ষায় শহরে যাতে জল না দাঁড়ায় তা সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগে বৃষ্টি হলেই শ্রীপল্লি এলাকায় জল দাংড়িয়ে যেত। দিন কয়েক আগে বর্ষায় ওই এলাকায় অবশ্য জল দাঁড়ায়নি। নিকাশি নালাগুলি যথাযথ ভাবে পরিষ্কার করার জন্যই তা সম্ভব হয়েছে। তবে অশোকনগর এলাকায় বানভাসি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। |
|
|
|
|
|