|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
নিজের অনুবাদে রবীন্দ্রসৃষ্টি |
রবীন্দ্রনাথ কখনও চাননি আমাদের নৈতিক স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে আমরা আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করি। আর সামাজিক দাসত্বের চোরাবালির ওপর কখনওই ভারতীয়রা কোনও রাজনৈতিক জাদুতে স্বাধীনতার ইমারত গড়ে তুলতে পারবে না।— ‘ন্যাশনালিজম ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের রচনার সূত্রে তাঁর ভাবনার কথা আলোচনা করেছেন নির্মলকান্তি ভট্টাচার্য। তাঁর লেখা ভূমিকা-সহ বেরিয়েছে রবীন্দ্রনাথের ন্যাশনালিজম, কবিকৃত অনুবাদ। এটি-সহ কবির অনূদিত মোট ১১টি গ্রন্থ (দ্য ফিউজিটিভ, দ্য ক্রাউন, দ্য ক্রেসেন্ট মুন, স্যাক্রিফাইস, রেড ওলিয়েন্ডার্স, মালিনী, গীতাঞ্জলি, ফ্রুট গ্যাদারিং, ফায়ারফ্লাইজ, দ্য কিং অব দ্য ডার্ক চেম্বার, সঙ্গে অবনীন্দ্রনাথ অঙ্কিত শেষেরটির প্রচ্ছদ) ও ইংরেজিতেই লেখা রিলিজিয়ন অব ম্যান প্রকাশ করেছে নিয়োগী বুকস (ওয়ার্ডস অব দ্য মাস্টার, একত্রে ১২৯৫.০০)। বেশ কয়েকটির ভূমিকা লিখেছেন নির্মলকান্তি। দ্য কিং অব দ্য ডার্ক চেম্বার সম্পর্কে যেমন ভূমিকায় জানাচ্ছেন তিনি, ১৮ জুন ১৯১৪-য় ‘দ্য টাইমস লিটেরারি সাপ্লিমেন্ট’ লিখছে যে, শ্রীঠাকুর তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে আধ্যাত্মিকতার গভীর গোপন সূত্র থেকে একই সত্য উদ্ভাসিত করছেন আমাদের সামনে, শুধু নতুন ভঙ্গিতে। গীতাঞ্জলি-র ভূমিকায় ইয়েটস লিখছেন: ‘আই হ্যাভ ক্যারেড দ্য ম্যানুস্ক্রিপ্ট অব দিজ ট্রানস্লেশনস অ্যাবাউট উইথ মি ফর ডে’জ, রিডিং ইট ইন রেলওয়ে ট্রেনস, অর অন দ্য টপ অব অমনিবাসেস অ্যান্ড ইন রেস্টরেন্টস, অ্যান্ড আই হ্যাভ অফেন হ্যাড টু ক্লোজ ইট লেস্ট সাম স্ট্রেঞ্জার উড সি হাউ মাচ ইট মুভড মি।’ কবিকৃত এই অনুবাদ-গ্রন্থগুচ্ছ নিঃসন্দেহে প্রাপ্তি অ-বাংলাভাষী পাঠকের কাছে। |
|
|
|
|
|