|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
সুখপাঠ্য, বর্ণময় স্মৃতিকথা |
বইপোকা |
এ বছরে শংকরের চৌরঙ্গী পঞ্চাশে পড়িল। উদযাপনীয় ঘটনা নিশ্চয়। বাংলা বইয়ের ভুবনে একটি ব্যতিক্রমী বাণিজ্যসফল গ্রন্থের অর্ধশতবর্ষপূর্তির উদযাপন? অংশত তাহাই। কিন্তু পাশাপাশি আর একটি উদ্যাপনের প্রয়োজনও আছে। তাহা, রমণীয় স্মৃতির উদযাপন। পান্থশালায় অতিথিগণের দেখভালের দায়িত্বে থাকেন যাঁহারা তাঁহাদের স্মৃতির ঝুলি কর্মসূত্রেই পূর্ণ হইয়া উঠে নানা বর্ণময় ব্যক্তিত্বের স্মৃতিতে। সেই সকল স্মৃতি নিতান্তই ঘরোয়া, বোধকরি সেই কারণেই আরও বেশি রঙিন। কিন্তু হায়, স্মৃতির ছবি কথায় যখন প্রকাশিত হয় বাংলা ভাষায় তখন তাহার পরিবেশন এমন বিবর্ণ হয় কেন? না, চৌরঙ্গী সম্পর্কে এমন কথা বলিতেছি না। তাহার প্রচ্ছদটি যথেষ্ট ভাবনার খোরাক জোগায়। পাঠকের মনে গাঁথিয়া যাওয়া ডাকটিকিটের ফর্মে সেই পুরাতন প্রচ্ছদটিই ব্যবহৃত হইতেছে এখনও, তবে তাহার শিল্পী অজিত গুপ্তের নামটি ছাড়াই। এক অখ্যাত প্রকাশনা ‘বোলপুর সাহিত্য সংসদ’ হইতে প্রকাশিত হইয়াছে এমনই এক পান্থশালা-কর্তা মুক্তিপদ দে-র স্মৃতিকথা যখন দেখি জীবনখানি। ‘আগন্তুক’-এর শু্যটিং করিতে আসা সস্ত্রীক সত্যজিৎ রায়, জ্যোতি বসু, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, শিল্পী চিত্রনিভা চৌধুরী, প্রমুখের দেখাশোনা করিয়াছেন এই গ্রন্থের লেখক, বিভিন্ন সরকারি অতিথিশালার ভারপ্রাপ্তরূপে। তাঁহাদের কিছু স্মৃতি এবং নিজের জীবনের কিছু ঘটনা লইয়া এই সুখপাঠ্য স্মৃতিকথা। সুখপাঠ্য, কিন্তু উত্তম-দর্শন নহে। নিতান্ত সাধারণ চেহারা এই সম্ভাবনাময় গ্রন্থটির। প্রকাশক ভাবিয়া দেখুন, এই বর্ণময় স্মৃতি-রচনাটিকে বিবর্ণ-প্রকাশ হইতে উদ্ধার করা যায় কি না। |
|
|
|
|
|