|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ২... |
|
বাঁধ দিয়ে গঙ্গাকে হত্যা |
পার্বত্যধারায় পরপর বাঁধ দিয়ে গঙ্গাকে হত্যা করার সিদ্ধান্তের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন উত্তরাঞ্চল হিমালয়ের অসংখ্য গ্রামের মানুষ। পরিবেশ দফতরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বিবরণ দিয়ে, সমস্ত জরুরি আইন কানুন উড়িয়ে দিয়ে এই বাঁধগুলো তৈরি হচ্ছে।... দৈনিক ব্যবহৃত তিন হাজার বস্তা সিমেন্টের অংশ জলে গুলে সমস্ত পার্বত্য ঢালে ছড়িয়ে পড়ছে। জমে যাচ্ছে ক্ষেতের ফসলের পায়ের কাছে। দম আটকে যাচ্ছে ছোট ছোট পার্বত্য ধারাগুলির। গ্রামের পর গ্রামে বাড়ি বাড়িতে ফাটল।— ‘ডেস্ক থেকে’ জানাচ্ছেন জয়া মিত্র, ভূমধ্যসাগর-এর সম্পাদক। পরিবেশ ও সংস্কৃতি ভাবনার এই ত্রৈমাসিকে এ বারে মুখ্য বিষয়: নুন। লবণ কর ও করবিরোধী আন্দোলন হয়েছিল এ দেশ যখন পরাধীন, সেই লবণ স্বাধীনতার পর কী ভাবে ব্যক্তিমালিকানায় চলে গেল তা নিয়েই নানা লেখা। বাংলার অরণ্যের হালচাল নিয়ে শৈবাল দত্তের লেখা। আশালতা সিংহের নিজের লেখা ‘নারী’, তাঁর রচনাপঞ্জি, তাঁকে নিয়ে মায়া চট্টোপাধ্যায়ের লেখা।
সুন্দরবন চর্চার ত্রৈমাসিক শুধু সুন্দরবন-এ (সম্পা: জ্যোতিরিন্দ্রনারায়ণ লাহিড়ী) গত ডিসেম্বর থেকে এ-বছর মার্চ পর্যন্ত সুন্দরবনের ঘটনাপঞ্জি। প্রণবেশ সান্যালের জার্নালে জানা গেল, কী কী কারণে বাঘের গ্রামে ঢোকার প্রবণতা তৈরি হয়। আছে গত দু’বছরে বাঘের আক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিস্তারিত নথি। সুন্দরবনের স্থায়ী বাসিন্দা ও সেখানকার বোটের চালক-মালিক অশ্বিনী জানা শুনিয়েছেন তাঁর দিনরাত্রির গল্প। তুষার কাঞ্জিলালের ধারাবাহিক ‘আমার জীবন আমার সুন্দরবন’।
বন (মুখ্য সম্পাদক: বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য) পত্রিকাটি জুড়েই চোখজুড়নো সব বন্যপ্রাণীর ছবি। সাম্প্রতিক সংখ্যায় সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের আশ্চর্য সব নিদর্শন। প্রবাল, ডাকাত-কাঁকড়া বা তিমি, সিল ঝকঝকে ছবি আর বর্ণনায় উজ্জ্বল। আগের সংখ্যায় ছিল কলকাতার কাছেই পাখিরালয় চিন্তামণি কর অভয়ারণ্যের নতুন কিছু দুর্লভ পাখি, ছবি তুলেছেন ও তাদের নিয়ে লিখেছেন শান্তনু ভট্টাচার্য। হিমালয়-শ্রেষ্ঠ সুন্দর পাখি মোনাল নিয়ে জয়ন্তকুমার মল্লিক লিখছেন ‘সর্বত্রই মোনালের সংখ্যা বেশ কমে যাচ্ছে। চোরাশিকার ছাড়াও এদের ডিম চুরি, দাবানল, বাসা ও আবাস ধ্বংস, গৃহপালিত কুকুরের আক্রমণ, ব্যাপকভাবে গোচারণ, মাসরুম সংগ্রহ প্রভৃতি এদের সংখ্যা হ্রাসের প্রধান কারণ। হিমালয়ের অধিবাসীদের মধ্যে টুপির মাথায় মোনালের রঙিন ঝুঁটি লাগানোর প্রথার জন্যও মোনাল শিকার করা হত।’
হিরণ্ময় মাইতির পরিকল্পনা ও সম্পাদনায় নতুন পত্রিকা বন্যপ্রাণ-এর দু’টি সংখ্যা প্রকাশ পেল। প্রথম সংখ্যায় সম্পাদকের নিজেরই লেখা ও ছবি জলদাপাড়া নিয়ে। চমৎকার ফোটোফিচারে জ্যাক অ্যাশ পেঙ্গুইন, কৃষ্ণসার মৃগ, খুন্তে বক। দ্বিতীয় সংখ্যায় কিশোর পরিবেশবিদের নোটবুক-এ চতুর্থ শ্রেণির আর্য ঘোষ লিখেছে ‘পাখি দেখতে সাঁতরাগাছি’। ফোটোফিচারে বনবেড়াল, জলাভূমির বেজি, ভুটানি কাঠবেড়ালি, মৌটুসি, চড়াই, কাক কিছু বাদ নেই। |
|
|
|
|
|