১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ‘সুপারভাইজার’ পদকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তেতে ওঠে খানাকুলের সাপদ গ্রাম। লাঠিসোটা নিয়ে দু’পক্ষ সম্মুখ সমরে নেমে পড়ে। থান ইট ছোড়ে পরস্পরের দিকে। দুই মহিলা-সহ ৭ জনকে জখম অবস্থায় আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দু’পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে সুপারভাইজার পদ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর চাপান-উতোর চলছে মাসখানেক ধরেই। মাস খানেক আগে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান মল্লিক ওরফে লাল্টুর অনুগামী শেখ বাদশা, শেখ জাহির আব্বাস এবং শেখ একরাম ওই পদে নিযুক্ত হন। ওই পদের দাবিদার ছিলেন স্থানীয় অপর এক তৃণমূল নেতা মইনুল হক ওরফে রাঙ্গার অনুগামীরাও। সম্প্রতি শেখ বাদশাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন মইনুল ও তাঁর অনুগামীরা। গত এক মাসে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার দু’পক্ষের বচসা, হাতাহাতি হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
সুপারভাইজারদের অভিযোগ, তাঁদের দৈনিক মজুরির (২০৪ টাকা) অর্ধেক মইনুলের তিন অনুগামীকে দিতে হবে, এমনই দাবির প্রতিবাদ জানানোয় প্রায়ই অশান্তি, হামলা হচ্ছে। এ দিন একই কারণে বচসা বাধে বলে তৃণমূলের একাংশের দাবি। বচসা ক্রমে সংঘর্ষের চেহারা নেয়।
শাহজাহানের অভিযোগ, “সিপিএমের কিছু ছেলেকে নিয়ে গ্রামের উন্নয়নে বাধা দিতেই মইনুল হক এবং তাঁর অনুগামীরা অশান্তি করছে। রোদে পুড়ে সুপারভাইজাররা যে রোজগার করছেন, তার ভাগ চাইছে ওরা। প্রতিবাদ তো হবেই।” সুপারভাইজারদের থেকে মজুরির অর্ধেক চাওয়া-সহ যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মইনুল। তাঁর দাবি, “গ্রাম্য বিবাদের জেরে এ দিন গোলমাল হয়। এর মধ্যে তৃণমূলের কোনও ব্যাপার নেই।” |