আইআইটি-র শিক্ষকেরা খুশি
হুট করে অভিন্ন জয়েন্ট নয়, আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
মান অবনতির আশঙ্কায় আইআইটি-র শিক্ষক-প্রতিনিধিরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর। আইআইটি-তে ভর্তির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করা হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন। শুক্রবার ‘অল ইন্ডিয়া আইআইটি ফ্যাকাল্টি ফেডারেশন’-এর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই প্রতিশ্রুতি দেন বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। এই ব্যাপারে তিনি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বলের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন মনমোহন।
অভিন্ন প্রবেশিকার মাধ্যমে আইআইটিগুলিতে ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছে সিব্বলেরই গড়া বিশেষজ্ঞ কমিটি। ভর্তির ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণির নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেছে তারা। বিভিন্ন আইআইটি এতে আপত্তি তুলেছে। আইআইটিগুলির শিক্ষকদের সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া ফ্যাকাল্টি ফেডারেশন’-ও এর বিরোধী। এ ভাবে ছাত্র ভর্তি করা হলে আইআইটি-র মান পড়ে যাবে বলে শিক্ষক সংগঠনের আশঙ্কা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য শুক্রবার দিল্লি যান ওই সংগঠনের ১২ জন প্রতিনিধি। এ দিন সকাল ১০টা ১০ মিনিট থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে আইআইটি-র শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ফেডারেশনের সদস্যেরা জানান, অভিন্ন প্রবেশিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনও রকম তাড়াহুড়ো করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মনমোহন। ফেডারেশনের সম্পাদক অতুল মিত্তল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইআইটিগুলির বিকাশের জন্যই স্বশাসন জরুরি।”
আইআইটিগুলির স্বশাসনে হস্তক্ষেপ করার ইচ্ছে তাঁর নেই বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন সিব্বল। কিন্তু অভিন্ন প্রবেশিকার প্রস্তাবটাই কার্যত আইআইটি-র অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকে। তাঁরা বলছেন, অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা আইআইটি আইনের পরিপন্থী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ দিনের আলোচনার পরে ফেডারেশনের সদস্যেরা অবশ্য খুশি। ওই সংগঠনের সদস্য, খড়্গপুর আইআইটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত গুহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে-ভাবে মন দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন, তাতে আমরা খুবই খুশি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। এই নিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।”
প্রধানমন্ত্রী এ দিন শিক্ষকদের কাছে জানতে চেয়েছেন, আইআইটিগুলির অধিকর্তারা কেন অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার ব্যাপারে নিয়ে আপত্তি তুলছেন না? ফেডারেশনের সদস্যদের জবাব, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকই ওই অধিকর্তাদের নিয়োগ করে। সম্ভবত সেই কারণেই তাঁরা মন্ত্রকের গড়া বিশেষজ্ঞ কমিটির ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারেননি।
প্রশান্তবাবুর বক্তব্য, অনেক জায়গায় স্কুল নেই। কোথাও কোথাও স্কুল আছে তো বসার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। জানলা-দরজা নেই। ছাদ দিয়ে জল পড়ে। শিক্ষকেরা নিয়মিত আসেন না। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, সাধারণ স্কুল-কলেজের এই সব সমস্যার দিকে নজর দেওয়া অনেক জরুরি। তা না-করে অভিন্ন প্রবেশিকা নিয়ে মাথা ঘামানো হচ্ছে! এতে দেশের উৎকৃষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানের অবনতি ঘটবে বলে আমাদের আশঙ্কা।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.