|
|
|
|
ত্রিপুরা |
বিধানসভা ভোটের আগে নলছড়ার জয় বামেদের মনোবল বাড়াল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মাস আষ্টেক আগে, ত্রিপুরার নলছড়া উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীর জয় বাম শিবিরকে নিঃসন্দেহে খানিকটা স্বস্তি এনে দিল।
উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী তপন দাস তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, কংগ্রেসের দ্বিজেন্দ্রলাল মজুমদারকে ৪,৭৭৭ ভোটের ব্যবধানে হারালেন। এই উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল রাজ্য কংগ্রেস। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে গত বারের তুলনায় সিপিএম এ বার প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জিতল। ১৯৮৮ সাল থেকেই এই কেন্দ্র সিপিএমের দখলে। উপনির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী তপন দাস বলেন, “‘এ রাজ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখার জন্য মানুষ সিপিএমকে ভোট দিয়েছেন।’” আর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধরের মন্তব্য, ‘‘আশানুরূপ ফলাফল হয়েছে উপনির্বাচনে।’’ নলছড়ের উপনির্বাচনের ফলাফল, পরের বছরে ‘সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার’ গঠনে রাজ্যবাসীকে অনেকটাই উৎসাহিত করবে বলে তিনি জানান। |
|
জয়ী সিপিএম প্রার্থী তপন দাসকে ঘিরে সমর্থকদের বিজয়োল্লাস। ছবি: উমাশঙ্কর রায়চৌধুরী |
উল্লেখ্য, নলছড় (সংরক্ষিত) কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা এ বার ছিল ৩৩,৩৯২ জন। এই উপনির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৯৬ শতাংশ। বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছেন ১৮,০০১ টি ভোট। পরাজিত প্রার্থী কংগ্রেসের দ্বিজেন্দ্রলাল মজুমদার পেয়েছেন ১৩,২২৪টি ভোট। আর বিজেপি ও আমরা বাঙালির প্রার্থীরা পেয়েছেন যথাক্রমে ৪৬৩টি এবং ৩৮৫টি ভোট। এই কেন্দ্রে ২০০৮ এর নির্বাচনের ফলাফলের প্রেক্ষিতে এ বার উপনির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে ১ হাজার ৮টি। কিন্তু শতাংশের হিসেবে সিপিএমের ভোট বেড়েছে, কংগ্রেসের ভোট কমেছে। উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থীর অভিযোগ, ‘‘সিপিএম এখানে দাদন বিলি করে মানুষের ভোট কিনেছে।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুদীপ বর্মণের মতে, অবশ্যম্ভাবী পরাজয় রোখার জন্য সিপিএম ভোটের আগে ‘সন্ত্রাসের পরিবেশ’ তৈরি করেছিল। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব আরও মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্টের কায়দায় যে ‘নীরব সন্ত্রাস’ সিপিএম ত্রিপুরায় চালাচ্ছে, তার সমুচিত জবাব ভোটাররা ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনেই দেবেন। |
|
|
|
|
|