টুকরো খবর |
খনিকর্মীর মৃত্যুতে চিকিৎসা নিয়ে ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
কর্মরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ার এক দিন পরে মৃত্যু হয়েছে এক খনিকর্মীর। জামুড়িয়ার সাতগ্রাম এরিয়ার নাগেশ্বর কোলিয়ারির ঘটনা। এর জেরে চিকিৎসা পরিকাঠামো বেহালের অভিযোগ তুলে মৃতদেহ নিয়ে তৃণমূলের নেতৃত্বে ঘণ্টা তিনেক বিক্ষোভ দেখালেন খনিকর্মী এবং স্থানীয় বেশ কিছু বাসিন্দা। তৃণমূল নেতা সুব্রত অধিকারীর দাবি, শনিবার রাতে কর্মস্থলে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন খনিকর্মী হাকিত মিঞা (৩৬)। রাত ১২টা নাগাদ শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে মিঠাপুর (আর) কোলিয়ারির চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কম্পাউন্ডার ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁকে সাতগ্রাম এরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আবার কাল্লা কেন্দ্রীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। রবিবার বিকেলে হাকিত মিঞার মৃত্যু হয়। এর পরে সোমবার সকালে ওই কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে কোলিয়ারির এজেন্ট কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টা তিনেক বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে চিকিৎসাকেন্দ্রে সর্বক্ষণের চিকিৎসক রাখতে হবে। এরিয়া হাসপাতালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। পোষ্যকে চাকরি এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ারও দাবি করেন তাঁরা। কোলিয়ারির এজেন্ট এনসি দাঁ জানান, নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ এবং পোষ্যকে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা করা হবে।
|
স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা না পেয়ে বিডিও-র দ্বারস্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোরো |
রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা (আর এস ভি ওয়াই) প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছেন না। এই অভিযোগে সোমবার বোরো থানা এলাকার এক বাসিন্দা বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন। মানবাজার দুই ব্লকের বিডিও পার্থ কর্মকার বলেন, “বিষয়টি আমি জেলা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” বোরোর রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা ভৃগুরাম মাহাতো বলেন, “আমি কিছুদিন ধরে কিডনির অসুখে ভুগছি। কয়েকদিন ধরে পুরনো উপসর্গগুলি ফিরে আসায় কষ্ট পাচ্ছি। ডাক্তারবাবু বলেছেন শরীরে রক্ত নেই। সামান্য যেটুকু জমি ছিল চিকিৎসার কারণে তাও বিক্রি হয়ে গিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে আর এস ভি ওয়াই এর কার্ড করিয়েছি।” তাঁর অভিযোগ, “নির্ধারিত চিকিৎসাকেন্দ্রের তিনটি কেন্দ্রে গিয়ে ফিরে এসেছি। তারা বলেছেন ওই সুবিধা এখন আর মিলবে না। গরিব মানুষ চিকিৎসা করানোর খরচ কোথায় পাব। অথচ আগে বলা হয়েছিল বিপিএল তালিকাভুক্ত যে সব বাসিন্দা এই কার্ড করাবেন তাঁরা বিনা খরচে চিকিৎসা পাবেন।” বিডিও পার্থ কর্মকার জানান, নির্দিষ্ট কয়েকটি চিকিৎসাকেন্দ্রে তাঁরা চিকিৎসা করাতে পারবেন। তবে ভৃগুবাবুর সমস্যা জেলাস্তরে জানানো হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে পুরুলিয়া জেলায় রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা প্রকল্প চালু হয়েছে। ওই প্রকল্পের পুরুলিয়ার দায়িত্বে থাকা অভীক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ দিনই একটি অভিযোগ মিলেছে। তাতে বিশদ তথ্য উল্লেখ নেই। যারা এই কার্ডের প্রাপক তাঁরা অবশ্যই স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পাবেন। চিকিৎসার গুরুত্ব বুঝে প্রয়োজনে অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গেও কথা বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”
|
মেডিক্যাল কলেজ দেখতে আইএমএ দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
মুর্শিদাবাদ জেলা মেডিক্যাল কলেজে তদন্তে এলেন মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার দুই প্রতিনিধি। সোমবার তাঁরা বহরমপুরে আসেন। এর আগে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেও দিল্লি থেকে ৪ প্রতিনিধি দল ওই জেলা মেডিক্যাল কলেজ পরিদশর্নে এসেছিলেন। তাঁদের রিপোর্টে ওই কলেজ নির্মাণে বেশ কিছু অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করা হয়। তা দেখতেই এ দিন বহরমপুরে আসেন দুই সদস্য। কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপকুমার সাহা বলেন, “এপ্রিলে আসা চার প্রতিনিধির রিপোর্ট কতটা কার্যকর হয়েছে তা দেখতেই এ দিন দু-জন এসেছিলেন দিল্লি থেকে। কলেজ ঘুরে ওই প্রতিনিধি দল সন্তোষ প্রকাশও করেছেন।” ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বহরমপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আশা করছি সবার সহযোগিতা ও সমন্বয়ে জেলা মেডিক্যাল কলেজে এ বছরই ছাত্র ভর্তি করা সম্ভব হবে।”
|
ত্রুটি সারিয়ে ছন্দে ফিরছে মেডিক্যাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নানাবিধ সমস্যা কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরতে শুরু করল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিদ্যুৎবাহী তার মেরামত করা হয়েছে। রবিবার রাত থেকেই চালু হয়েছে সিটি স্ক্যান। তবে প্রসূতি বিভাগের ওটি চালু হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সোমবার থেকেই ওটি পরিষ্কার করা শুরু হয়েছে। সক্রমণ হওয়ায় প্রসূতি বিভাগের ওটি আপাতত বন্ধ আছে। সার্জারি বিভাগের ওটিতে টেবিল বাড়িয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরিষ্কার হওয়ার পর প্রসূতি বিভাগের ওটি থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা নিয়ে ফের পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। গত দু’দিন ধরে নানা সমস্যায় জেরবার হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল। প্রসূতি বিভাগের ওটি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ-বিভ্রাটও দেখা দেয়। বিদ্যুৎবাহী তারে ত্রুটি থাকায় হাসপাতালের একাংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল না শুক্রবার রাত থেকে। ফলে, পাম্পে জল তোলা যাচ্ছিল না। পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়। বন্ধ হয়ে যায় সিটি স্ক্যান। অবশেষে বিদ্যুৎ সমস্যা মিটেছে। এ দিন থেকেই ফের সিটি স্ক্যান চালু হয়েছে।
|
স্বাস্থ্য পরিষেবার দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া |
চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো, রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার ও পাখার ব্যবস্থা করা-সহ ১১ দফা দাবিতে সোমবার খাতড়া মহকুমা হাসপাতালের সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। পরে দলের তরফে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দাস বলেন, “খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা যথেষ্ট কম থাকায় রোগীদের সমস্যা হয়। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই, পাখার সংখ্যাও কম। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এ দিন সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।” মহকুমা হাসপাতালের সুপার বার্ণামান টুডু বলেন, “কিছু সমস্যা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
|
রক্ত সঙ্কট মেটাতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘ভগত সিংহ জন্ম শতবার্ষিকী কমিটি’র উদ্যোগে সোমবার খড়্গপুরের তালবাগিচায় এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরের উদ্বোধন করেন রেলশহরের পুরপ্রধান জহরলাল পাল। ৮ জন মহিলা-সহ ৪০ জন রক্ত দেন। গরম বাড়তেই জেলা জুড়ে রক্ত-সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালেও রক্তের আকাল। রক্ত-সঙ্কট মেটাতেই শিবির বলে জানিয়েছে উদ্যোক্তা কমিটি।
|
বিপাকে রোগীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
হাসপাতালে এক্সরেপ্লেটের অভাব দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আাধিকারিককে অভিযোগ জানানো হয়েছে। গত সাতদিন ধরে হলদিবাড়ি হাসপাতালে এক্সরেপ্লেট নেই। এক্সরে করার জন্য সবাইকে জলপাইগুড়ি যেতে হচ্ছে। হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রানেশ্বর মৈত্র বলেন, “মুখ্য স্বাস্থ্য আাধিকারিকের কাছে অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের জন্যে আবেদন করা হয়েছে।”
|
স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকসা |
বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করল কাঁকসা ব্লক যুব তৃণমূল। সোমবার পানাগড় রেলপাড়ের ট্যাঙ্কিতলায় শিবিরটি আয়োজিত হয়। ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম ছাড়াও গলসি ব্লক ও বাঁকুড়ার সোনামুখীর একাধিক গ্রাম থেকেও মানুষ এসেছিলেন। উদ্যোক্তারা জানান, প্রায় সাতশো রোগীর চিকিৎসা হয়েছে এই শিবিরে। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক।
|
প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন একই পরিবারের ১৭ জন। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনাটি চন্দ্রকোনা থানার ঝাঁকরা সংলগ্ন কেলেমি গ্রামের। রবিবার নাম-সংকীর্তন উপলক্ষে ভোগের প্রসাদ খেয়ে এই বিপত্তি। |
|