|
|
|
|
টুকরো খবর |
মার্কশিট নিয়ে জট, বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের বিভিন্ন স্তরে সমন্বয়ের অভাবে বিপাকে পড়েছেন বেশ কিছু পড়ুয়া। ছাত্রছাত্রীদের একাংশ হাতে মার্কশিট পাননি। আবার মার্কশিট হাতে পেলেও তা অসম্পূর্ণ রয়েছে অনেকেরই। তার ফলে পলিটেকনিকে সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কাউন্সেলিংয়ে সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা। এর জেরে সোমবার বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। তবে কারিগরি শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কশিটে ত্রুটি থাকলেও কাউন্সেলিংয়ে বসতে সমস্যা হবে না।
গত সপ্তাহে বৃত্তিমূলক শিক্ষার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার পলিটেকনিকে ভর্তির কাউন্সেলিং শুরু হবে। কিন্তু অনেকেই মার্কশিট হাতে পাননি। যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেরই আবার অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার নম্বর যোগ হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সফল হতে পারেননি তাঁরা। তাই পলিটেকনিকে ভর্তির পরীক্ষায় সুযোগ পেয়েও কাউন্সেলিংয়ে বসার সুযোগ পাচ্ছেন না। হলদিয়ার মহিষাদলের বার অমৃতবেড়িয়া হাইস্কুলে ১৪ জন ছাত্র এই সমস্যায় পড়েছেন। এ দিন বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরেশচন্দ্র ঘোড়ই বলেন, “২৫০ নম্বরের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার নম্বর সময়মতো সংসদে পাঠানো সত্ত্বেও মার্কশিটে তা যোগ করাই হয়নি। ফলে পড়ুয়ারা পাশ করতে পারেনি।” জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ এবং অন্যান্য জেলা থেকেও বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা এ দিন বিক্ষোভ দেখান। মার্কশিট তৈরিতে যে ভুলভ্রান্তি হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সুস্মিত হালদার। এ দিন তিনি বলেন, “যাদের মার্কশিটে গোলমাল হয়েছে, তারাও কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিতে পারবে। কিন্তু চূড়ান্ত মার্কশিট হাতে পাওয়ার আগে তারা কলেজে ভর্তি হতে পারবে না।” |
পরিষদীয় দলের সঙ্গে মমতার বৈঠক ১৮ই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দলীয় বিধায়কদের নিয়ে আগামী ১৮ জুন, সোমবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৫ জুন, শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ওই দিন শোকপ্রস্তাব হয়ে সে দিনের মতো সভা মুলতুবি হওয়ার কথা। ওই দিন দুপুরে তৃণমূলের পরিষদীয় দল বিধানসভায় বৈঠক করবে। এর দু’দিন পরে সোমবার টাউন হলে দলনেত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী-বিধায়কদের বৈঠক সম্পর্কে ‘আনুষ্ঠানিক’ ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে সপ্তাহখানেক আগে সম্পন্ন হওয়া ছ’টি পুরসভার ভোটের ফলাফল এবং আজ, যে দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হচ্ছে, তার ফলাফল বিশ্লেষণ করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রের খবর। নতুন সরকারের বর্ষপূর্তির পরে এই দু’টি ভোটের নিরিখে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি এবং দলের কিছু সাংগঠনিক রদবদল নিয়েও দলনেত্রী পরামর্শ দিতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রী সাধারণত পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক বিধানসভাতেই করেন। কিন্তু এ বার কেন টাউন হলে হচ্ছে, তা ব্যাখ্যা করে দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “দলের এত জন বিধায়ককে নিয়ে বিধানসভার বৈঠকে স্থান সংকুলানে সমস্যা হয়। এ বার সে কারণে বাইরে করা হচ্ছে।” আগামী ২১ জুলাই শহীদ দিবসের ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েও বৈঠকে আলোচিত হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। দলের এক নেতা বলেন, “প্রাথমিক ভাবে বিধায়কদের ডাকা হচ্ছে। তবে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হলে সাংসদরাও আমন্ত্রিত হবেন। সে ক্ষেত্রে বৈঠকের জায়গাটা বড় হওয়া দরকার।” |
হাতবদলে রাশ টানতে জমি ব্যবহার মানচিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নিউ টাউনের বাইরে পুরনো ‘ব্রাডা’ এলাকায় জমির যথেচ্ছ কেনাবেচা আটকাতে মরিয়া রাজ্য সরকার। তাই তারা ‘ল্যান্ড ইউজ ম্যাপ’ বা জমি ব্যবহারের মানচিত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই জন্য মুখ্যসচিব সমর ঘোষের নেতৃত্ব চার সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শিল্প ও পরিকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রিসভার সাব-কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হিডকো সংলগ্ন রাজারহাট ও ভাঙড় এলাকায় পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য বাম আমলে ‘ভাঙড়-রাজারহাট উন্নয়ন পর্ষদ’ বা ব্রাডা গড়া হয়েছিল। পর্ষদের অনুমতি ছাড়া
ব্রাডা এলাকায় জমি হস্তান্তর নিষিদ্ধ ছিল। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে ওই পর্ষদ ভেঙে দেয়। কিন্তু দেখা যায়, এই সুযোগে বহু জমির হাতবদল হয়ে গিয়েছে। জমি ব্যবসায় জাঁকিয়ে বসেছে প্রোমোটারেরা। এ দিন মন্ত্রিসভার সাব-কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ইতিমধ্যে যে-সব জমি বিক্রি হয়ে গিয়েছে, সেখানে এখনই কোনও নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে ওই এলাকায় জমি কেনাবেচার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। কিন্তু সেটা কত দিন? সরকারের বক্তব্য, চার সদস্যের কমিটি ওই এলাকার জমি ব্যবহারের মানচিত্র তৈরি করবে। তারা মোট জমির আয়তন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানীয় জলের বন্দোবস্ত, একসঙ্গে কত লক্ষ মানুষ বসবাস করতে পারে ওই এলাকায় এই সব বিবেচনা করেই ‘ল্যান্ড ইউজ ম্যাপ’ তৈরি করা হবে। সরকারের এক মুখপাত্র জানান, ওই মানচিত্র তৈরির কাজ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত সব কিছু বন্ধ থাকবে। কিন্তু নির্দিষ্ট আইন ছাড়া জমি কেনাবেচা বন্ধ করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চার সদস্যের কমিটিতে আছেন পুরসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, নগরোন্নয়ন সচিব দেবাশিস সেনও। কমিটি কত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে, তা ঠিক হয়নি। |
বাড়তি হারে সস্তার চাল বিপিএল পরিবারকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের ১০টি জেলার ‘বিপিএল’ বা দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলির জন্য চালের মাসিক বরাদ্দ বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার। এর মধ্যে জঙ্গলমহলের আদিবাসী মানুষ তো আছেনই। সেই সঙ্গে দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চল-সহ চা-বাগানের শ্রমিকেরাও এই সুবিধা পাবেন বলে খাদ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। খাদ্য দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্যের সংগ্রহ থেকেই পরিবারগুলিকে বাড়তি চাল দেওয়া হবে। হঠাৎ বাড়তি চাল কেন? ওই কর্তা বলেন, “এ বছর রাজ্যের বার্ষিক চাহিদার তুলনায় প্রায় আট লক্ষ টন বেশি চাল সংগৃহীত হবে। সেই চাল সংরক্ষণ করে রাখার জায়গা খাদ্য দফতরের নেই। তাই অতিরিক্ত চাল গরিবদের মধ্যে বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।” তবে খাদ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামবাংলার মানুষের মন পেতেই সরকারের এই নির্দেশিকা। জঙ্গলমহলের আদিবাসী পরিবারগুলি এখন দু’টাকা কিলোগ্রাম দরে মাসে ৩৫ কিলোগ্রাম চাল পায়। নতুন নির্দেশিকায় ওই দামেই পরিবার-পিছু মাসিক বরাদ্দ ৫৫ কিলোগ্রাম করা হয়েছে। অন্ত্যোদয় কার্ডধারী পরিবারগুলি দু’টাকা কিলোগ্রাম দরে মাসে ৩৫ কিলোগ্রামের জায়গায় ৬০ কেজি চাল পাবে। বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে চা-বাগান শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও। দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের দারিদ্রসীমার নীচের পরিবারগুলির জন্যও বরাদ্দ বাড়িয়ে ৬৬ কেজি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ প্রভৃতি জেলাতেও দারিদ্রসীমার নীচের পরিবারগুলিকে ৩৫-এর বদলে মাসে ৬০ কেজি চাল দেওয়া হবে। |
৪৩টি নতুন পিটিটিআই খুলছে রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে খুব শীঘ্রই নতুন ৪৩টি সরকারি পিটিটিআই খোলা হচ্ছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) ওই প্রতিষ্ঠানগুলিতে দু’বছরের ডিএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) পাঠ্যক্রম চালানোর অনুমতি দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার মহাকরণে এ কথা জানান। এর ফলে রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে পিটিটিআইয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ১২৬। বর্ধমানে মধ্যে ছ’টি; কলকাতায় পাঁচটি; দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চারটি; বীরভূম, হুগলি, হাওড়া, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় তিনটি করে; বাঁকুড়া, দার্জিলিং ও উত্তর দিনাজপুরে দু’টি করে; দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে একটি করে পিটিটিআই খোলা হচ্ছে। চলতি মাসেই ওই সব নতুন প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে এবং জুলাইয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে।
নতুন প্রতিটি পিটিটিআই-এ ৫০ জন পড়ুয়া নেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, “এতগুলি পিটিটিআই একসঙ্গে চালু হওয়া শিক্ষার অধিকার আইনের শর্ত মেনে ২০১৪-য় রাজ্যের সব প্রাথমিক স্কুলেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা পড়াতে পারবেন।” |
পোর্ট ট্রাস্টে শীর্ষ পদে একটি নাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বরুণ রায়ের নাম প্রস্তাব করেছে রাজ্য সরকার। সোমবার মহাকরণ সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান-পদে একটি নামই প্রস্তাব করে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৯৯২ সালের আইএএস বরুণবাবু এখন ক্ষুদ্রশিল্প উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর-পদে রয়েছেন। চেয়ারম্যান-পদে কাজ করার অভিপ্রায় জানিয়ে রাজ্যের সচিব পর্যায়ের আরও দু’জন অফিসার আবেদন করেছিলেন। তাঁরা হলেন নগরোন্নয়ন দফতরে সচিব দেবাশিস সেন এবং পরিবেশসচিব আরএস কাহালো। সরকার অবশ্য একটি নামই প্রস্তাব করে দিল্লিতে পাঠিয়েছে। চেয়ারম্যান-পদটি কয়েক মাস ধরে খালি আছে। |
|
|
|
|
|