|
|
|
|
রঘুনাথপুর পুরসভা |
মতপার্থক্যে ভেস্তে গেল অনাস্থার সভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
পরস্পর বিরোধী মতামতের জেরে গৃহীত হল না রঘুনাথপুরের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব। তৃণমূল পুরপ্রধান মদন বরাটের বিরুদ্ধে পুরসভা পরিচালনায় একাধিক অভিযোগ তুলে গত ২৮মে অনাস্থা এনেছিল দলেরই তিনজন ও আরএসপির একজন কাউন্সিলার। অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল মহকুমাশাসকের কাছে। পরে তাঁর নির্দেশে সোমবার পুরসভাতে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সভা ডেকেছিলেন পুরপ্রধান। তবে পরস্পর বিরোধী মতামদের জেরে সভা ভেস্তে যায়। মহকুমাশাসক প্রণব বিশ্বাস বলেন, “অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে এ দিনের সভার রেজিউলেশন পুরসভা পাঠিয়েছে। সেটি জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হচ্ছে।”
এ দিন সভায় ১১ জন সদস্যর মধ্যে তৃণমূলের ৬, সিপিএমের ২ ও আরএসপির ১ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। এসইউসি ও কংগ্রেসের দুইজন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। এসইউসির পক্ষে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বে তারা পড়তে চান না বলে এ দিনের সভায় দলের কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন। আর কংগ্রেস কাউন্সিলর অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। প্রসঙ্গত, ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে একজন কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে এবং একটি ওয়ার্ডে গন্ডগোলের জেরে নির্বাচনই হয়নি।
পুরসভা সূত্রে খবর, এ দিনের সভাতে অনাস্থার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূলের তিন ও আরএসপির এক জন কাউন্সিলর। বিপক্ষে ছিলেন তৃণমূলেরই তিনজন কাউন্সিলর। আর সিপিএমের দুই কাউন্সিলর নিরপেক্ষ ছিলেন। পুরপ্রধান বলেন, “আইন অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য ডাকা সভাতে উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য (এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫) প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানালেই প্রস্তাব গৃহীত হবে।” তাঁর দাবি, “কিন্তু ওই সংখ্যক সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে মতামত দেননি বলেই প্রস্তাব খারিজ হয়েছে।” অন্য দিকে অনাস্থা আনা কাউন্সিলরদের মধ্যে তৃণমূল নেতা বিষ্ণুচরন মেহেতার পাল্টা দাবি, “যেহেতু ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া কাউন্সিলরদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর অনাস্থার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন, ফলে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাব খারিজ হতে পারে না।”
পুরসভা সূত্রের খবর, পরস্পর বিরোধী মতামত উঠে আসায় সভায় অনাস্থা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। মদনবাবু বলেন, “যারা অনাস্থা এনেছিলেন তারা বিষয়টি মানতে চাইছেন না বলেই আইনের ধারা উল্লেখ করে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছে।” এ দিকে, সিপিএমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ রায় বলেন, “অনাস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য সভা ডাকা হয়েছিল। দলীয় কাউন্সিলররা সভাতে গিয়েছিলেন দুর্নীতির বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানাতে। কিন্তু তাঁদের কথা বলতেই দেওয়া হয়নি। যেহেতু অনাস্থার বিষয়টি তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল, তাই আমাদের সদস্যরা নিরপেক্ষ ছিলেন।” |
|
|
|
|
|