সম্পাদক সমীপেষু...
জীবনের প্রতি এই ভালবাসা
আমরা, যারা বঙ্গসন্তান, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে দূরে ঝলমলে মুম্বই শহরে থাকি, তারা, কোনও কোনও একলা মুহূর্তে, বড়া পাও হাতে নিয়েও কলকাতাকে ‘মিস’ করি প্রবল। বিশেষত, যাদের বয়ঃক্রম চল্লিশ পেরিয়েছে বেশ কিছুকাল, তাদের কাছে এই টান আরও প্রবল। ফলে, দেশের ‘বাণিজ্যিক রাজধানী’তে থেকেও তৃষ্ণার্ত থাকি সেই সব নস্টালজিয়ার জন্য। তেমনই একটি স্মৃতিমেদুরতার নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, শুধুমাত্র সেইটুকু জানানোর জন্য এই চিঠি নয়। নিশ্চিত, সৌমিত্রবাবুকে ঘিরে এমন নস্টালজিয়ার মধ্যে অভিনব কিছু নেই। আরও অজস্র মানুষ তার শরিক। সম্প্রতি মুম্বই-প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন মুম্বই-বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন সৌমিত্রবাবুকে সংবর্ধনা দিল তাঁর দাদাসাহেব ফালকে প্রাপ্তি উপলক্ষে। খুবই সময়োপযোগী এই আয়োজন।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা। জ্ঞাপক অঞ্জন ও মিনু চট্টোপাধ্যায়। মুম্বই, ’১২
উদ্যোক্তারা সাদুবাদের দাবিদার, নিঃসন্দেহে। সেই অনুষ্ঠানে দর্শক হিসাবে থেকে একটি শিক্ষা পেলাম। সে দিন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দেখে এবং তাঁর বক্তব্য শুনে বুঝতে পারলাম, তিনি নিজের প্রকৃত শিকড়টি চিনতে পেরেছিলেন, এবং শত হাতছানি সত্ত্বেও সেই শিকড়ের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। অতি দুরূহ কর্ম, তিনি করে দেখিয়েছেন।
‘স্টার’ হওয়া সত্ত্বেও কোনও দিন ‘অভিনেতা’র নমনীয়তাটি সৌমিত্রবাবু ত্যাগ করেননি। নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন শিল্প ও সাহিত্যের নানাবিধ শাখায়। সেই সব উপলব্ধি তাঁকে সমৃদ্ধ করেছে। শারীরিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জীবনের প্রতি এমন আশ্চর্য ভালবাসা দেখে, অনুষ্ঠানের আসরে চোখ বাষ্পাচ্ছন্ন হয়েছিল। এই বিষয়টিকে শিক্ষণীয় মনে করি। তাই সুদূর মুম্বই থেকে এই চিঠি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘ, সমৃদ্ধ জীবন কামনা করি।
পেনশনে দেরি
কিছু প্রধান শিক্ষকের অদক্ষতা এবং গাফিলতির কারণে পে কমিশনের রোপা ২০০৯ অনুসারে ২০০৬-এর পর যে সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী অবসর নিয়েছেন, তাঁদের সংশোধিত পেনশন গ্র্যাচুয়িটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাসময়ে ঠিক স্থানে পাঠানোয় কিছুটা দেরি হয়েছে। পেনশন বিভাগে এই সমস্ত কাগজপত্র এক বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে রয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ডিসেম্বর ’১০ এবং জানুয়ারি ’১২ থেকে বর্ধিত ডি এ পাচ্ছেন না। রোপা ’৯৮-এর পেনশনের সঙ্গে উক্ত ডি এ যোগ হচ্ছে না। যাঁরা গত ৭-৮ মাস হল অবসর নিয়েছেন, তাঁরাও পেনশন পাচ্ছেন না।
এই টানাটানির বাজারে শোচনীয় আর্থিক অবস্থায় বিস্তর সরকারি অর্থ নানা খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। যদি সত্যিই সরকার আলোর দিশারী হয়ে থাকে, তবে আজও অবসরপ্রাপ্তরা বঞ্চিত থাকলেন কেন? তৃষ্ণার অনুভূতি তো সকলেরই সমান।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.