|
|
|
|
মেয়ে নেই, বাড়ি ফিরে হুঁশ ফিরল ক্যামেরনের |
শ্রাবণী বসু • লন্ডন |
রেস্তোরাঁ থেকে সকলেই ফিরলেন। কিন্তু মেয়ে কই?
চার দিকে খোঁজ, খোঁজ রব। প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে বলে কথা! সঙ্গে সঙ্গে ফোন গেল সেই রেস্তোরাঁয়। এর পর মেয়ের খোঁজে প্রধানমন্ত্রী নিজেই গাড়ি ঘুরিয়ে চললেন সেখানে। পৌঁছে দেখলেন আট বছরের মেয়ে দিব্যি রয়েছে সেখানে। কর্মীদের সঙ্গে হাত লাগিয়েছে কাজে। মাস দু’য়েক আগে এমনটাই হয়েছে ব্রিটেনে। সেখানকার একটি দৈনিক ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে আজ এই ঘটনার
কথা জানিয়েছে।
লন্ডন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাকিংহামশায়ারের চেকার্সে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের খামার বাড়ি। মাস দু’য়েক আগে সেখানেই গিয়েছিলেন সপরিবার ছুটি কাটাতে। এক দিন স্ত্রী সামান্থা, ছেলে আর্থার এবং মেয়ে ন্যান্সিকে নিয়ে চেকার্সেরই একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান ক্যামেরন। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের কিছু আত্মীয়। ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, খাওয়া শেষ হওয়ার পর ওঁদের বাড়ি ফেরার কিছু আগে ন্যান্সি শৌচাগারে গিয়েছিল। কাকতালীয় ভাবে সে সময়ই বাড়ি ফেরার তোড়জোড় শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে একটি গাড়িতে উঠে পড়েন। স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে উঠেছিলেন অন্য একটি গাড়িতে। ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওঁদের মধ্যে সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সামান্থা ভেবেছিলেন, বাবার সঙ্গে রয়েছে মেয়ে। অন্য দিকে, ক্যামেরন ভেবেছিলেন, মেয়ে রয়েছে তার মায়ের সঙ্গেই। আর সে জন্যই পথে আর মেয়ের খোঁজ করেননি ওঁরা।
ক্যামেরনের অফিস সূত্রে জানানো হয়, বাড়ি পৌঁছে গাড়ি থেকে নেমেই ক্যামেরন দম্পতি বুঝতে পারেন মেয়ে নেই। সঙ্গে সঙ্গে ওঁরা ওই রেস্তোরাঁয় ফোন করেন, জানতে পারেন মেয়ে সেখানে নিরাপদেই রয়েছে।
তৎক্ষণাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওই রেস্তোরাঁয় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র পনেরো মিনিটই মা বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তার। তবে, এই ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের কোনও দোষ দেননি।
আর সেই পনেরো মিনিট কী ভাবে কেটেছিল ওই রেস্তোরাঁ কর্মীদের?
সেখানকার এক কর্মী জানাচ্ছেন, শৌচাগার থেকে বেরিয়ে ন্যান্সি তার বাবা-মার খোঁজ করে। কিন্তু তত ক্ষণে রেস্তোরাঁ ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে ক্যামেরন পরিবার। রেস্তোরাঁ কর্মীদের চোখ তো তখন কপালে ওঠার জোগাড়। সে সময় ঠিক কী করা উচিত, তাঁরা তা বুঝে উঠতে পারেননি। এক কর্মীর কথায়, “ন্যান্সি এমনই এক ব্যক্তির মেয়ে, যাঁর নাম অন্তত হাতের কাছে যে টেলিফোন ডিরেক্টরি রয়েছে, তাতে পাওয়া যায় না! তাই অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় ছিল না।”
পনেরো মিনিট সত্যিই ‘দীর্ঘ’ সময়। রেস্তোরাঁ কর্মীরা তো টের পেয়েছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীও কি তা বুঝতে পারলেন? |
|
|
|
|
|