|
|
|
|
পেটে লাথি, সন্তানের মৃত্যু গর্ভেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
পেটে লাথি মারায় ৯ মাসের এক গর্ভবতী মহিলা মৃত সন্তান প্রসব করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মহিলাকে মারধর করার অভিযোগ উঠছে প্রতিবেশী কয়েকজনের বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের চন্ডীপুর এলাকায় ২৬ মে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে মহিলার মৃত সন্তান প্রসব হয়। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলার স্বামী। জমি দখলে সঙ্গ না দেওয়ায় বাড়িতে চড়াও হয়ে স্বামীকে না পেয়ে গর্ভবতী ওই মহিলাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেছেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রহৃত মহিলার নাম মিনতি দাস। প্রতিবেশী দীপু ও সরল দাসের সঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দার জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। ঘটনার দিন ওই ব্যক্তি আমিন নিয়ে মাপ করতে জমিতে গেলে তাদের বাধা দিতে কয়েকজন প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান সরল ও দীপু। প্রতিবেশী মিনতি দেবীর স্বামী গোপালবাবুকেও সঙ্গে যেতে বলেন দীপু। তিনি যেতে রাজি হননি। এরপর জমি থেকে ফিরে দুই ভাই দীপু ও সরল দাসরা দলবল নিয়ে গোপালবাবুর বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। গোপালবাবুকে বাড়িতে না পেয়ে মিনতি দেবীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কিল, চড়, ঘুঁষির পাশাপাশি পেটে লাথিও মারা হয় বলে অভিযোগ। পেটে যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় ওই দিনই হাসপাতালে ভর্তি হন মিনতি দেবী। বৃহস্পতিবার তার মৃত সন্তান প্রসব হয়। চিকিৎসক ছোটন মন্ডল জানান, মারধরেই মহিলার সন্তান মারা গিয়েছে কি না তা নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে সেটাও কারণ হতে পারে। মারধরের কথা জানিয়ে তিনি হাসপাতালে গেলে আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে বলা হয়। মারধরে গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার অভিযোগে ৩১৩ ধারায় মামলা হয়েছে। মহিলার স্বামী গোপাল দাস বলেন, “মারধরের জন্য স্ত্রীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।” |
|
|
|
|
|