|
|
|
|
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার নালিশ |
থানায় বিক্ষোভ হরিশ্চন্দ্রপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
চোলাই ও দেশি মদের অবৈধ দোকান বন্ধে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানায় বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ওই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির নেতৃত্বে ওই বিক্ষোভ দেখান তুলসিহাটা এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, চা ও পানের দোকান, এমনকী মিষ্টির দোকানের আড়ালেও চলছে মদ বিক্রির কারবার। এ ছাড়া চোলাই-সহ দেশি মদের অসংখ্য দোকান চলছে রমরমিয়ে। সন্ধ্যার পরে বাজারের পাশেই বসছে আসর। মাতালদের দাপটে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে এলাকার মহিলাদের। সহজলভ্য হওয়ায় নেশায় আকৃষ্ট হচ্ছে কমবয়সী ছেলেরাও। দিনের পর দিন এই পরিস্থিতি চলতে থাকায় বিষিয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। তারপরও পুলিশ-প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে গ্রাম উন্নয়ন কমিটির তরফে পুলিশকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “অবৈধ চোলাই ও মদের আসরের বিরুদ্ধে জেলা জুড়েই অভিযান চলছে ও চলবে। বহু এলাকায় ওই ধরনের আসর ভেঙে ফেলার পাশাপাশি কারবারীদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। ছাড়া পেয়ে ফের তারা আসর খুলে বসছে। তুলসিহাটা এলাকাতেও ওই ধরনের আসর থাকলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বাসিন্দারা জানান, তুলসিহাটা মাছ বাজারের পেছনে সন্ধ্যার পরে প্রকাশ্যেই একাধিক আসর বসছে। অস্থায়ী ওই আসরের পাশপাশি এলাকায় অন্তত ২৫টি বাড়িতে চোলাই ও দেশি মদের দোকান চলছে রমরমিয়ে। এ ছাড়া রয়েছে ভ্রাম্যমাণ দোকান। ঝুলিতে বোতল ও গ্লাস নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কারবারিরা। পরিস্থিতি এমনই যে সন্ধ্যার পর গোটা এলাকা কার্যত মাতালদের দখলে চলে যায়। প্রতিবাদ করলে টিটকিরির পাশাপাশি হুমকির মুখেও পড়তে হয়। বাধ্য হয়েই দিনকয়েক আগে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেন বাসিন্দারা। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিনোদ গুপ্ত বলেন, “সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোটা এলাকাই মদ্যপদের দখলে চলে যায়। পরিস্থতি ভয়াবহ হয়ে উঠলেও পুলিশের কোনও হেলদোল নেই।” স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মনিরাজ রাম ও সম্পাদক শশীদেব পান্ডে একযোগেই বলেন, “হরিশ্চন্দ্রপুরের অন্যতম ব্যবসায়িক কেন্দ্র তুলসীহাটা। প্রয়াত কৃষি-বিপনন মন্ত্রী বীরেন্দ্র কুমার মৈত্রের বাড়ি ছিল এখানেই। বর্ধিষ্ণু এলাকা চোলাইয়ের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।” |
|
|
|
|
|