মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ উঠল বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ওই নার্সিংহোমে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে মৃত রোগীর দুই আত্মীয়কে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য থানা থেকেই জামিনে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। রোগীর আত্মীয়েরা বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বর্ধমান শহরের খোসবাগান পাড়ার ওই নার্সিহোমে মৃত্যু হয় বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়া সঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৪২)। তাঁর বাড়ি বীরভূমের নানুর থানার উচকরণ গ্রামে। তাঁর ভাই রঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বা ইঞ্জেকশন দেওয়ায় তাঁর দাদার মৃত্যু হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপকুমার মণ্ডল বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে।”
যদিও ওই নার্সিংহোমের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক অনলদেব বসু এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, “রোগীর আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ ঠিক নয়। ওই রোগীর শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েছিল। তাই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।” তবে এই মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য তাঁরা কী ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করেছিলেন, সে প্রশ্নে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে পারব না।”
বৃহস্পতিবার সিএমওএইচের কাছে লিখিত অভিযোগে রঞ্জিতবাবু আরও জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নার্সিংহোমের তরফে দাদার মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় তাঁদের। তাঁরা বারবার মৃতদেহ দেখতে চাইলেও তা দেখতে দেওয়া হয়নি। তাঁরা মৃতদেহের ময়না-তদন্ত করাবেন বলে জানানোয় নার্সিংহোমের লোকেরা তাঁদের তাড়াতাড়ি দেহ নিয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় বলেও রঞ্জিতবাবুর অভিযোগ। এ নিয়ে গণ্ডগোল বাধে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বর্ধমান থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে রোগীর দুই আত্মীয়কে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য থানা থেকে ওই দুজনকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, মৃতদেহের ময়না-তদন্ত করানো হয়েছে। |