|
|
|
|
দাবি পেয়ে খুশি ধূপগুড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধূপগুড়ি |
স্টেশনে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের স্টপ পেয়ে রেলমন্ত্রী মুকুল রায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে খুশিতে মাতলেন ধূপগুড়ির বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি স্টেশনে প্রথমবার স্টপ দেয় ওই ট্রেন। ধূপগুড়ি পুরসভা নির্বাচনে জিতলে বাসিন্দাদের ওই দাবি পূরণ করা হবে বলে নেতা-কর্মীদের মারফত রেলমন্ত্রী সে বার্তা দিয়েছিলেন। এর পরেই একক শক্তিতে ধূপগুড়ি পুরসভা দখল করে তৃণমূল। রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার অলকানন্দা সরকার বলেন, “বুধবার সন্ধ্যায় মালিগাঁও থেকে বার্তা আসার পর এদিন প্রথম ধূপগুড়িতে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হয় এখন থেকে প্রতিদিন দু’মিনিট করে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ধূপগুড়ি স্টেশনে দাঁড়াবে।” রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ থেকে নিউ কোচবিহারগামী আপ ট্রেনটি সকাল ৮ টা ৮ মিনিটে ও শিয়ালদহগামী ডাউন ট্রেনটি বিকাল ৪ টা বেজে ৮ মিনিটে দু’মিটের জন্য ধূপগুড়ি স্টেশনে দাঁড়াবে। ওই দিন বিকাল সোয়া ৪ টা নাগাদ কলকাতাগামী উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস স্টেশনে থামতেই উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে গোটা স্টেশন চত্বর। তৃণমূল সমর্থকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষের অনেকেই স্টেশনে গিয়ে ফুল,মিষ্টি নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। |
|
বৃহস্পতিবার ছবিটি তুলেছেন রাজকুমার মোদক। |
রেল মন্ত্রী মুকুল রায় ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের নামে ধ্বনি দিতে থাকেন তৃণমূল সমর্থকরা। এদিন ধূপগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশে ট্রেনে চাপেন ২২ জন যাত্রী। তাঁদের সকলকে মিষ্টি মুখ করান তৃণমূল সমর্থকরা। বাদ যাননি উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের গার্ড, চালক থেকে স্টেশনের কর্মীরা। তাঁদের ফুলের তোড়া দিয়ে ধন্যবাদ জানানো হয়। পুর নির্বাচনের প্রচারে ধূপগুড়িতে যান রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। সেই সময় স্থানীয় দুই ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের স্টপেজের দাবি করা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীও ওই দাবিকে সমর্থন জানান। নির্বাচনে জিতলে মানুষের ওই দাবি পূরণ করা হবে বলে নেতা-কর্মীদের মারফৎ রেলমন্ত্রী সে বার্তা দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গুড্ডু সিংহ বলেন, রেলমন্ত্রী মানুষের দাবি ভুলে যাননি। একক ভাবে ক্ষমতা দখলের প্রথম উপহার পেল ধূপগুড়ির মানুষ। রেলমন্ত্রীর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে ধন্যবাদ।” ধূপগুড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফোসিডের পক্ষে এদিন বিকালে রেলমন্ত্রী ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়ে ধন্যবাদ জানানো হয়। সংগঠনের সম্পাদক হিমাদ্রি সাহা বলেন, “আমাদের অনেক দিনের দাবি পূরণ হল। রেলের স্টপ দিয়ে শহরের উন্নয়নের ধাপ শুরু হল বলে আমরা মনে করছি।” |
|
|
|
|
|