বাড়ির কিশোরী পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে। বাবাকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। গ্রেফতার করা হয়েছে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তিকে।
ঘটনাটি হাড়োয়ার মহিষটিকারি গ্রামের। মাস চারেক আগে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া স্থানীয় এক কিশোরী জহর আলি খাঁয়ের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ শুরু করে। মেয়েটির পড়াশোনার দায়িত্ব নেবেন বলেছিলেন ওই পরিবারের গৃহকর্তা।
অভিযোগ মাস দুই পরে বাড়ি বড় ছেলে সাহামিন মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। ঘটনা জানাজানি হলে সপরিবার মেয়েটিকে খুনের হুমকি দেন। এর পর একাধিক বার বছর তিরিশের বিবাহিত ওই যুবক বছর পনেরোর কিশোরীটির উপরে শারীরিক অত্যাচার চালান বলে মেয়েটির দাবি। সে পুলিশকে জানিয়েছে, কিছু দিন পর জহর আলিও তাকে ধর্ষণ করেন। পরে পাঁচশো টাকার একটি নোট হাতে গুঁজে দিয়ে বলেন, ঘটনা কেউ জানতে পারলে পরিবারের সকলকে খুন করে ফেলা হবে।
বাড়ির ছোট ছেলে বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি মেয়েটিকে পরামর্শ দেন, সকলকে ঘটনাটি জানাতে। বাড়ি ছেড়ে পালাতে।
অভিযোগ, গত সোমবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে জহর ধর্ষণ করেন মেয়েটিকে। পালিয়ে গিয়ে মেয়েটি সব বলে দেয় বাড়ির লোকজনকে। মঙ্গলবার গ্রামের মানুষ চড়াও হয় খাঁ-বাড়িতে। পালিয়ে যান সাহামিন। জহরকে ধরে ফেলে শুরু হয় মারধর।
পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মেয়েটি ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। সাহামিনের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বসিরহাট এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা করানো হয়েছে। গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে আদালতে।
ধৃত জহরের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁর বক্তব্য, আগে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সেই দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ায় তাঁকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হল। |