পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের ‘ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলারক্ষা’য় ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে ফের ‘সতর্ক’ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, ফের তাঁদের কোনও কাজে দলের ‘ভাবমূর্তি ‘ক্ষুণ্ণ’ হওয়ার অভিযোগ উঠলে দলীয় নেতৃত্ব কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবেন। একই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ভাঙড় এলাকার আরও এক স্থানীয় নেতাকে।
গত ২৪ এপ্রিল ভাঙড় কলেজে শিক্ষক সংগঠন ‘ওয়েবকুটা’-র নির্বাচনে প্রতিনিধি মনোনয়ন নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে এক শিক্ষিকাকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে আরাবুলের বিরুদ্ধে। উত্তেজিত আরাবুল ওই শিক্ষিকাকে জগ ছুড়ে মেরেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও ওই শিক্ষিকা তাঁর এফআইআরে জগ ছুড়ে মারার ঘটনা উল্লেখ করেননি। বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জেরে কয়েক দিনের মধ্যেই ‘বিব্রত’ তৃণমূল আরাবুলকে শো-কজ করে। তবে শুধু শিক্ষিকা-নিগ্রহ নয়, বিভিন্ন সময়ে আরাবুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগই জমা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বের কাছে। শিক্ষিকা-নিগ্রহের জেরে পুরনো সেই অভিযোগগুলি নিয়েও দলে নাড়াচাড়া হয়েছিল। একই ভাবে সরকারি জমি দখল, টাকা তোলা-সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শো-কজ করা হয় ভাঙড় ১-ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গির খান চৌধুরীকেও।
দুই অভিযুক্ত নেতা ইতিমধ্যেই অভিযোগের সত্যতা ও নিজেদের ‘দায়’ স্বীকার করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে শো-কজের জবাব দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। এই বিষয়ে আরাবুল বা জাহাঙ্গির অবশ্য প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, আরাবুলদের জবাব পাওয়ার পরে আরও এক বার ওঁদের ‘সতর্ক’ করা হয়েছে। দলের মধ্যে কোনও রকম গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব বা উপদলীয় কোন্দলে তাঁরা যাতে জড়িয়ে না-পড়েন, সেই ব্যাপারেও তাঁদের ‘সচেতন’ থাকতে বলা হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি ‘ক্ষুণ্ণ’ হচ্ছে, এমন কোনও অভিযোগ ফের সামনে এলে দল তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরাবুলদের পাশাপাশি জেলার অন্য তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও সতর্ক করে দিয়ে তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশিত অনুশাসন মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। |