ঝড়ের মুখে আহিরন হল্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে নবদ্বীপগামী নবদ্বীপ-ফরাক্কা এক্সপ্রেসের ছাদে ভেঙে পড়ে স্টেশন চত্বরের একটি গাছের বড় ডাল। তবে ট্রেনের তখন গতি কম ছিল। চালক ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় দুর্ঘটনা কিছু ঘটেনি। ওই ট্রেনেই ছিলেন ওই রেলপথের সিনিয়র সুপারভাইজার নইমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘ঝড় শুরুর মুখেই ৫.২৭ মিনিটে আহিরন হল্ট স্টেশনে ঢুকছিল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। তখনই চলন্ত ট্রেনের উপরে ভেঙে পড়ে স্টেশন এলাকার একটি বড় গাছ। ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেই গাছ কেটে লাইন পরিষ্কার করে সন্ধ্যে ৬.৩৫ মিনিট নাগাদ ট্রেনটিকে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।’’ |
এই দিন মিনিট দশেকের ওই ঝড়ের ব্যাপক তান্ডবে সুতি এলাকার চারটি গ্রাম রসুনপুর, জলঙ্গাপাড়া, বাঙাবাড়ি ও আহিরণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ঝড়ে প্রায় ২০০টি বাড়ির টিন ও খড়ের ছাদ উড়ে গিয়েছে। রাস্তায় প্রায় শ’খানেক গাছ ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের পাঁচটি খুঁটি উপড়ে পড়ায় সমস্ত এলাকা বিদ্যুহীন হয়ে পড়েছে। এই ঝড়ের মুখে পড়ে আহিরনে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরবাইকের সঙ্গে লরির মুখোমুখি ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইকের চালক ও আরোহীর। মৃতদের নাম মরজুল সেখ (২৮) ও সজল সরকার (২৫)। তাঁদের বাড়ি সুতির বাগশিরাপাড়া ও খানাবাড়ি এলাকায়। দূর্ঘটনায় পড়া লরিটি নয়ানজুলিতে উল্টে গেলে গুরুতর আহত হন চালক ও খালাসি। তাঁদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জঙ্গিপুরের এসডিও এনাউর রহমান বলেন, ‘‘এই ঝড়ে আহিরন সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামে ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। বিডিওকে বলা হয়েছে শুক্রবারের মধ্যেই পঞ্চায়েতগুলির সহযোগিতায় ক্ষয়ক্ষতির হিসেব জানাতে আমরা ঘটনার উপর নজর রাখছি।’’ |