|
|
|
|
মিড-ডে মিলে বরাদ্দ-বৃদ্ধির দাবি |
সুব্রত গুহ • কাঁথি |
অগ্নিমূল্যের বাজারে ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করতে নাভিশ্বাস উঠছে প্রাথমিক স্কুলগুলির। সম্প্রতি কলকাতায় মিড-ডে মিল নিয়ে রাজ্যস্তরের এক বৈঠকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী পিছু বরাদ্দ ৩ টাকা ১৭ পয়সা বাড়িয়ে ৩ টাকা ৩৩ পয়সা করা হয়েছে। উচ্চ প্রাথমিকে (আপার প্রাইমারি) ৪ টাকা ৩৩ পয়সার জায়গায় ৪ টাকা ৬৫ পয়সা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার পরেও অবশ্য সমস্যা মেটেনি। এ দিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মিড-ডে মিল প্রকল্প আধিকারিকের দফতর থেকে সাপ্তাহিক মেনুর একটি তালিকা তৈরি করে স্কুলে-স্কুলে পাঠানো হয়েছে। সামান্য ভাত-ডাল জোগাতেই যেখানে হিমসিম অবস্থা, সেখানে মাছ, ডিম, আলু-পোস্ত, চাটনি-র ওই তালিকা দেখে ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্কুলগুলিতে। ক্ষুব্ধ প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন বরাদ্দ আরও বাড়ানোর দাবিতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
কাঁথি-৩ চক্রের ধামাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিলে আগে সপ্তাহে এক দিন একটা গোটা ডিম দেওয়া হত। অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য-বৃদ্ধির কারণে এখন তা অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক সত্যব্রত দাস। নন্দীগ্রাম পূর্ব-চক্রের চারগলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাসে এক দিন ডিম বরাদ্দ থাকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য। স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মণচন্দ্র দাসের কথায়, ‘‘এখন তো ডাল আর সয়াবিনের তরকারি দিয়েও মাসে ১০-১২ দিনের বেশি মিড-ডে মিল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।” মহিষাদল পশ্চিম-চক্রের টিকারামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদীপ রায়ের কথায়, “৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কুইন্টাল দরে জ্বালানি কেনা দায়। বাজার অগ্নিমূল্য হওয়ায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিল খাওয়াতে শিক্ষকদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।”
এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রী পিছু ন্যূনতম ৫ টাকা বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরূপ ভৌমিক ও নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক নীলকণ্ঠ দলুই। মিড-ডে মিলের জেলা প্রকল্প আধিকারিক দেবাঞ্জন রায় সমস্যার কথা মেনে বলেন “এটা শুধু জেলার নয়, গোটা রাজ্যের সমস্যা। মিড-ডে মিলের বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পুষ্টিকর খাদ্য কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া যায় তার একটি সাপ্তাহিক তালিকা তৈরি করে জেলার বিদ্যালয়গুলিতে পাঠানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|