|
|
|
|
পাঁশকুড়ায় রেললাইনে মধ্যবয়সীর দেহ উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রেক-পয়েন্টের কাছে রেললাইনে মিলল এক মধ্যবয়সীর মৃতদেহ। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া রেল স্টেশনের কাছে চাচিয়াড়া রেক পয়েন্টে যাওয়ার ওই রেলপথে কোনও ট্রেন চলাচল করে না। তাই বৃহস্পতিবার সকালে দেহ উদ্ধারের পরে এটি খুনের ঘটনা বলেই মনে করছে রেলপুলিশ।
মৃত পল্লব রায়চৌধুরী (৪৬) হাওড়ার উলুবেড়িয়ার সারদাপল্লির বাসিন্দা। মাস কয়েক আগে হুগলির কোন্নগরে একটি শেয়ার বেচাকেনার সংস্থায় কম্পিউটার অপারেটরের কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ট্রেনেই যাতায়াত করতেন। অন্য দিনের মতো বুধবারও পল্লববাবু অফিসে গিয়েছিলেন। বিকেল ৪টে নাগাদ মা-কে ফোন করে ট্রেনে
|
মৃত পল্লব রায়চৌধুরী। |
উঠেছেন বলে জানান। কিন্তু রাত ৮টার পরেও না ফেরায় বাড়ির লোকজন মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। মোবাইলে সাড়া না পেয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাতেই উলুবেড়িয়া থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন পল্লববাবুর আত্মীয়-বন্ধুরা। পুলিশ মোবাইলের সূত্র ধরে জানতে পারে, পাঁশকুড়ার কাছাকাছি কোনও এলাকায় রয়েছেন ওই ব্যক্তি। পল্লববাবুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অনুপ রায় বলেন, “সেই খবর পেয়ে রাতেই পাঁশকুড়ায় এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করি আমরা। সকালে পাঁশকুড়া স্টেশনে খোঁজ করার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানতে পারি, চাচিয়াড়া রেক পয়েন্টের কাছে একটি দেহ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে রেললাইনের মাঝে পল্লবের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখি।”
যে রেলললাইনে দেহটি পড়েছিল, সেটি দিয়ে কোনও ট্রেন চলাচল করে না। তা সত্ত্বেও পল্লববাবুর মৃতদেহ কী ভাবে ওখানে গিয়ে পৌঁছল, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে পাঁশকুড়া জিআরপি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ও ময়না-তদন্তের জন্য তমলুকে জেলা হাসপাতালে পাঠায়। মৃতদেহের নাক-মুখে রক্ত লেগে থাকলেও দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ব্যাগ, হাতঘড়ি, মোবাইলকোনও কিছু খোওয়া যায়নি।
অকৃতদার পল্লবাবুর বাড়িতে বাবা-মা, ভাই ও তাঁর স্ত্রী রয়েছেন। এ দিন তমলুক জেলা হাসপাতালে দেহ নিতে এসেছিলেন পল্লববাবুর ভাই পুলকবাবু। তিনি বলেন, “দাদা কোনও দিন এই দিকে কাজ করেননি। এ দিকে কোনও বন্ধুও নেই দাদার। উলুবেড়িয়া থেকে এতগুলো স্টেশন পরে দাদা এলেনই বা কী ভাবে, বুঝতে পারছি না। পুরোটাই ধোঁয়াশা। তবে এখনই পুলিশে অভিযোগ জানাচ্ছি না।” |
|
|
|
|
|