নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অন্যান্য বার অর্জুন ও রাজীব গাঁধী খেলরত্ন পুরস্কারের মনোনয়নের জন্য যে ফর্ম ক্রীড়ামন্ত্রক থেকে বোর্ডের দফতরে আসে, এ বার তা আসেনি। বৃহস্পতিবার মিডিয়া বিবৃতি জারি করে এই বক্তব্য পেশ করে দিল ভারতীয় বোর্ড।
এ দিন বোর্ডের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেন সচিব সঞ্জয় জাগদালে। যেখানে পরিষ্কার লেখা: নিয়ম করে প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক এই ফর্ম আগেভাগেই পাঠিয়ে থাকে বোর্ডকে। যাতে বোর্ড ক্রিকেটারের মতামত জেনে তাঁর নাম অনুমোদন করে ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে পাঠাতে পারে। কিন্তু এই বছরে বোর্ড সে রকম কোনও ফর্ম পায়নি ক্রীড়ামন্ত্রকের থেকে। তা ছাড়া এই মুহূর্তে অন্যান্য বছরের মতো কোনও ক্রিকেটারের নাম পাঠানোর জায়গাতেও বোর্ড নেই।
ফর্ম-কাণ্ডকে ঘিরে বোর্ড বনাম ক্রীড়ামন্ত্রক ধুন্ধুমার গতকালই প্রকাশ্যে আসে। এ দিন বোর্ড বিবৃতি পেশ করলে কী হবে, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর দফতরের মুখপাত্র রাজেশ মলহোত্র বললেন, “আমি নিজে ওই ফর্ম বোর্ডকে পাঠিয়েছি। গত এপ্রিলে এ নিয়ে কথাও হয়েছে বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে। এখন ওরা কী বলছে বুঝে পাচ্ছি না। আসলে পুরোটাই গাফিলতি ঢাকার চেষ্টা।” কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রক যা-ই বলুক, রাতের দিকে আবার সংবাদসংস্থা রীতিমতো তালিকা তুলে দিয়ে জানাচ্ছে, গত জানুয়ারি মাসে ক্রীড়ামন্ত্রকের সার্কুলার কোন কোন ক্রীড়া সংস্থার কাছে পৌঁছেছিল। আর সেখানে বোর্ডের নাম নেই। জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত এত দিন না থেকেও যে ফর্ম বোর্ড এত দিন পেয়ে থাকত।
দিল্লি ক্রিকেটমহল মনে করছে, দু’পক্ষের পুরোনো ঝামেলা থেকেই এই নতুন বিস্ফোরণ। অনেক দিন থেকেই বোর্ডকে আরটিআই-এর আওতায় এনে ফেলতে চাইছে ক্রীড়ামন্ত্রক। কিন্তু বোর্ড তাতে রাজি নয়। বোর্ড সিএও রত্নকর শেঠীও এ দিন সেটাই তুলে ধরে বললেন, “মলহোত্র যা বলছেন হাস্যকর। একবার ওরা বলছে ওয়েবসাইট থেকে কেন আমরা ফর্ণ ডাউড়লোড করিনি? এখন আবার বলছে আমাদের নাকি ফর্ম পাঠিয়েছে। আবার নাকি কথাও বলেছে। কার সঙ্গে বলেছে, জানি না। আসলে বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রকের ঝামেলা চলছে বলেই এ সব ওরা বলে যাচ্ছে।” |