নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
তৃণমূলের এক কর্মীকে ঘর তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই কিছু নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ।
বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের রায়বার গ্রামে। গ্রাম-সংলগ্ন একটি পুকুর পাড় থেকে শেখ আনসার আলি নামে ওই জখম তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তাঁকে পাঠানো হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর স্ত্রী রেমিজা বেগম পুলিশের কাছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মঈনূল হক ওরফে রাঙা-সহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। রেমিজার দাবি, স্বামীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধা দিতে গেলে আক্রমণকারীরা তাঁর শ্লীলতাহানিও করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তেরা পলাতক।
তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মঈনূল। তাঁর বক্তব্য, “ঘটনার সঙ্গে তাঁর বা তাঁর দলের কোনও সম্পর্ক নেই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরও ব্যাপার নয়। জমিজমাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা।” তবে গ্রামেরই অন্য এক তৃণমূল নেতা সাহাজামাল মল্লিক ওরফে লাল্টুর বক্তব্য, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লুকোনোর আর কোনও জায়গা নেই। আমার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কর্মীদের মারধর চলছেই। রাঙা ও তার সঙ্গীদের বেআইনি কাজকর্মের প্রতিবাদ করাতেই এমনটা ঘটছে। ওরা খুনের হুমকি দিচ্ছে। খুনের চেষ্টাও করছে।”
দলের একাংশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দুই নেতার গোলমালের জেরে ওই এলাকায় প্রায়ই অশান্তি হচ্ছে। আনসার মাস দু’য়েক আগেও মঈনূলের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। ইদানীং তিনি সাহাজামালের ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে উঠেছিলেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আনসার বলেন, “আমি অনেক সময়ে অন্যায়, জুলুমের প্রতিবাদ করি বলেই ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চাইছিল।” |